ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জোটের ভূমিধস জয়ের কারণ কী?

কলকাতা ব্যুরো || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৫, ১৬ নভেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৩:৪২, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জোটের ভূমিধস জয়ের কারণ কী?

১৯৯০ সালে বাবরি মসজিদ ইস্যুতে জনসমর্থন গড়ে তুলতে ভারতজুড়ে রথযাত্রার আয়োজন করেছিলেন তৎকালীন বিজেপি সভাপতি লাল কৃষ্ণ আদভানি। বিহারে সে সময়ে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। গোটা দেশে লাল কৃষ্ণ আদভানির রথ মসৃণভাবে যাত্রা করলেও বিহারে লালুর বাধায় আটকে যায় আদভানির রথের চাকা।।

আদভানির ‘রাম রথযাত্রা’ বিহারের সমস্তিপুরে প্রবেশ করার পর, তাকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করে লালুর পুলিশ। এই ঘটনাটি ভারতে ‘মণ্ডল-মন্দির’ রাজনীতির জন্ম দেয়, যেখানে ধর্মীয় ও বর্ণগত মেরুকরণ রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। 

আরো পড়ুন:

লালু প্রসাদ যাদবের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের গ্রাফ তখন উর্ধ্বমুখী। সেসময় বিহারের রাজনীতিতে বলা হতো- ‘সিঙ্গারায় যতদিন আলু আছে, বিহারের ক্ষমতায় ততদিন লালু আছেন’। এরপর গঙ্গায় অনেক জল বয়ে গিয়েছে। একাধিক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে গান্ধী পরিবারের অনুগত লালু প্রসাদ যাদব সক্রিয় রাজনীতির থেকে বাধ্যতামূলক অবসর নিয়ে গিয়েছেন জেলে। এরপর স্বাস্থ্য ভেঙেছে। ধীরে ধীরে লালুর রাজনৈতিক দল আরজেডির হারিকেনের হ্যান্ডেল ধরেছে তার ছেলে তেজস্বী যাদব। দল পরিচালনায় দক্ষতার পরিচয় রাখে তেজস্বী। ২০১৫ , ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীদলে থাকলেও সাফল্যও মেলে। কিন্তু ২৫ সালের নির্বাচনে পদ্মের ঝড়ে রীতিমতো নিভেই গেছে হারিকেনের আলো।

এদিকে কখনো বিজেপিকে ঠেকাতে জেডিইউ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে, আবার কখনো জোট ভেঙে বিজেপির এনডিএর জোটসঙ্গী হয় রাজনীতিতে পল্টুরাম খ্যাতি পেয়েছে নিতিশ কুমার। 

একদিকে যাদব রাজনীতির ঐতিহ্য অন্যদিকে রাজনীতির পল্টুরাম। তারপরেও কেন বিহারের দশম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পল্টুবাবু নিতিশ কুমারেকেই বেছে নিল আমজনতা? বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জোটের অবিশ্বাস্য এই জয়ের পিছনে কারণ কী?

এনডিএর মহাকাব্যিক জয়ের একাধিক কারণ বিশ্লেষণ করেছে বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন-

* নিতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট খুব ভালো কাজ করেছে, অথবা 

* বিরোধীদের বিরোধী হওয়ার যোগ্যতা নেই বলে ভোটাররা প্রত্যাখ্যান করেছে। 

এখন নির্বাচন পরবর্তী রাহুল গান্ধী ঘোষণা দিয়েছেন, এমন শোচনীয় পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করবেন তারা। নিশ্চিতভাবে বিশ্লেষণ করবে আরজেডি নিজেও।

টু দ্য পয়েন্ট আলোচনা করলে বিহারে বিরোধীদের পরাজয়ের কারণ বা এনডিএ-র সাফল্য বলতে গেলে প্রথমেই তিনটি বিষয়ে বলতে হয়। যেগুলো নিতীশ কুমারের নেতৃত্বে এনডিএ করে দেখিয়েছে। নিতিশকে বিহারের রাজনীতির ভিত তৈরি করতে যে তিনটি কারণ মূল সহযোগিতা করেছে এবং ভোট বাক্সে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলেছে- 

* বিহারের সুশাসন ও নিরাপত্তা। বিহার নিরাপদ এখন এটা বিহারে পা দিলে অনুভব করা যায়। রাত ২টার সময় একজন নারী শুনশান সড়কে ভয়ডরহীন ঘুরে বেড়াতে পারে। এই বিষয়টা ইঙ্গিত করে যে বিহারের পুলিশি ব্যবস্থা কতটা সঠিকভাবে পরিচালিত হয়েছে। নিতিশ কুমারের অপরাধের প্রতি জিরো টলারেন্স বিহারে সুশাসন কায়েম করেছে। যেটা আজ থেকে ১০ বছর আগেও কল্পনা করা যেত না।

* বিহারের রাস্তাঘাট। বিহারের শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ছোট রাস্তা পর্যন্ত পাকা সড়কের আওতায় এসেছে। অর্থাৎ পাকা সড়কের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের মানুষকে সুবিধা দেওয়ার যে প্রকল্প সেটা নিতিশ কুমার নিয়েছিলেন সেটা তাকে সুবিধা দিয়েছে। 

* বিদ্যুৎ, শহর থেকে গ্রামাঞ্চল সর্বত্র ২৪ ঘণ্টার বিদ্যুৎ সংযোগ। 

এছাড়াও ভোটে নির্দিষ্ট সুবিধা দিয়েছে কোন কোন বিষয়গুলো যদি আলোচনা করা হয় তাহলে প্রথমে আসবে বিরোধীদের প্রতি বিহারের আমজনতার ঘৃণা ভোট, কংগ্রেসের প্রতি বিহারবাসীর অনাস্থা, নারী ভোটের ম্যাজিক, মদ ব্যান, নীতিশের জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি ও খোদ মহাগাটবন্ধন জোটের প্রচার দুর্বলতা। 

* ঘৃণা ভোট: সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে শুরুতে বিরোধী মহাজোটের তরফে তেজস্বী যাদবকে যখনই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হয় তখনই আবারও কুড়ি বছর আগের জঙ্গল রাজের দিনগুলোর স্মৃতি মানুষের মনে উঠে আসে। সেই সঙ্গে জঙ্গল রাজের অতীত তুলে বিজেপির নিবিড় প্রচার। মানুষের মধ্যে একটা বিষয় স্পষ্ট করে তোলে ক্ষমতায় আর যেই আসুক যাদব পরিবার নয়। স্পষ্টতই যাদব পরিবারের প্রতি ঘৃণা ভোটের একেবারে পজিটিভ প্রতিফলন ঘটেছে এনডিএর ভোট বাক্সে । 

* কংগ্রেসের প্রতি অনাস্থা: বিহারে আরজেডি কংগ্রেসের দশকের পুরোনো সম্পর্ক নিয়ে একটা কথা প্রচলিত আছে যে- ‘যে হাতে (কংগ্রেসের প্রতীক হাত) হারিকেন (আরজেডির প্রতীক হারিকেন) ধরানো হয়েছে সেই হাত বিহারবাসীকে নিরাপত্তা দিতে পারিনি।’ একথা তখন প্রচলিত ছিল তখন কংগ্রেস জাতীয় রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছিল। এই মুহূর্তে কংগ্রেস জাতীয় রাজনীতিতে নিষ্প্রভ। বিহারে ৬১টি আসন কংগ্রেসের প্রার্থী দিয়ে মাত্র ৬টি আসনে জেতার মতো লজ্জাজনক ফলাফলের পরই কংগ্রেসকে দুষেছে খোদ জোট শরিকরা। 

রাহুল গান্ধীর ‘নেতৃত্বে’ থাকা কংগ্রেসকে ডুবন্ত নৌকার সঙ্গে তুলনা করে খোদ জোটসঙ্গীদের থেকে শুরু করে বিজেপি নেতারাও বলেছেন, “তিনি (রাহুল) নিজেও ডুবছেন, জোটসঙ্গীদেরও ডোবাচ্ছেন। তিনি সবসময় অ্যাটম বোমা, হাইড্রোজেন বোমার কথা বলে বেড়ান। আমার মনে হয়, তিনি সব বোমা নিজের দল এবং জোটসঙ্গীদের উপরই ফাটিয়েছেন।” 

* নারী ভোট ও জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি: বিহারের অতীত বর্তমান ঘাটলে দেখা যাবে ভারতের অন্যান্য যেকোনো রাজ্যের তুলনায় বিহারে পরিযায়ী শ্রমিকের পরিমাণ বেশি। রাজ্যে কাজ না থাকায় বিহারী পুরুষেরা প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে কাজ করতে চলে যায়। সেক্ষেত্রে বিহারের ভোটেও নারী ভোটের সংখ্যা বেশি। সদ্য নির্বাচনে মোট ভোটারের ৭১.৭৮ শতাংশ কেবল নারীদের ভোট। আর এই নারী ভোটকেই সরাসরি টার্গেট করেছেন নীতিশ কুমার। নির্বাচনের আগে ‘মুখ্যমন্ত্রী নারী রোজগার যোজনা’ নামাঙ্কিত সরকারি প্রকল্পে নারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার রুপি করে পাঠায় নীতিশের সরকার। এর ফলে প্রায় ৭৫ লাখ নারী উপকৃত হন। তাতেই নারীদের মন জয় করে নেয় নীতিশ। এছাড়াও লাখপতি দিদি প্রকল্পের আওতায় নারীদের ক্ষুদ্রঋণ। এছাড়াও নারীদের সাইকেল স্কুটি দেওয়া। পুলিশের নিয়োগে ৩৫ শতাংশ কোটা। নগর নিগমে ৫০ শতাংশ অংশ অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা। নীতিশ কুমারকে নারী ভোট টানতে ব্যাপক সহায়তা করেছে।

এছাড়াও জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি হিসেবে গৃহস্থদের ঘর পিছু ১২৫ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন নীতিশ। এরই সাথে ছিল রাজ্যটির এক কোটির বেশি সিনিয়র নাগরিক, বিধবা, শারীরিকভাবে অক্ষমদের পেনশনের অর্থ বৃদ্ধির ঘোষণা। ৪০০ রুপি থেকে বাড়িয়ে ১১০০ রুপির ঘোষণা দিতেই বেকারত্বের সমস্যা ভুলে রাজ্যের মানুষও দুহাত তুলে ভোট দিলেন এনডিএ-কে। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারে বারে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে বিহারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা উন্নতিসহ একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সেটাও কাজে দিয়েছে তাদের ভোট জয়ের ক্ষেত্রে। 

* মদ নিষিদ্ধ: ভারতের বড় বড় রাজ্যগুলো আবগারি আয়ের লোভে যা করে দেখাতে পারেনি নীতিশ কুমার সেটা করে দেখায় রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। মদ নিষিদ্ধ করায় দীর্ঘমেয়াদে সুশাসন পেয়েছে বিহার। 
একদিকে যেমন অপরাধ কমে যায় অন্যদিকে তেমন কমে যায় গার্হস্থ্য বিবাদ, নারীদের উপর অত্যাচার। যেসব পরিবারগুলো নেশার কারণে আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত ছিল তারাও সে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসে। এইসব পরিবারগুলো বর্তমানে নীতিশের শক্ত ভোট ব্যাংক। 

* বিরোধীদের প্রচার দুর্বলতা: কংগ্রেস ও জেডিইউ জোটের পরিযায়ী শ্রমিক সংক্রান্ত প্রচার তাদেরই বিপক্ষে গেছে। মহাগাটবন্ধন জোট যখন বিহারে রোজগার নেই এমন ইস্যু তুলে পরিযায়ী শ্রমিক সংক্রান্ত প্রচার তুঙ্গে তুলেছে, তখন বিরোধীদের এমন প্রচারকেই হাতিয়ার করেছে এনডিএ। সরাসরি কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলোতে বিহারীদের লাগাতার হেনস্থার ইস্যুগুলো প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এনডিএ জোটের এত বড় জয়ের পিছনে আরো কিছু কারণ রয়েছে যেগুলো আলোচনা না করলেই নয়। 

* রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ কৃষ্ণ প্রসাদ বসু বলছেন, বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দিল্লিতে যে জোট তৈরি হয়েছে তার কোনো প্রভাব তৃণমূল স্তরে পড়েনি। নির্বাচনে যে বিরোধী জোট লড়াই করেছে তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে তৃণমূল স্তরে বন্ধুত্বপূর্ণ নির্বাচনী লড়াই করেছে। ২৪৩ আসনে জোটের প্রার্থী ছিল ২৫৪ জন!  এই রাজনীতি বিশেষজ্ঞ বলেন, নির্বাচনে কোনো লড়াই বন্ধুত্বপূর্ণ হয় না। সেক্ষেত্রে এনডিএ বিরোধী ভোট সরাসরি বিভক্ত হয়ে গিয়েছে।

* বিহার নির্বাচনে কংগ্রেস ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধন বা এসআইআরকে ব্যাপকভাবে প্রচারে আনার চেষ্টা করেছে। বলা ভালো এসআইআর এর মাধ্যমে ভোট চুরি ইস্যুকে জাতীয় রাজনীতির মঞ্চে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছে। যেখানে বিহারের স্থানীয় ইস্যুগুলো থেকে কংগ্রেস অনেকটা দূরে থেকে গেছে। ভোটারদের কানেক্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। 

* কট্টর হিন্দুত্ববাদের ভোট: বিহার নির্বাচনে বিজেপি একটি আসনেও সংখ্যালঘু মুসলিমদের টিকিট না দিয়ে তাদের হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার মডেল পরোক্ষভাবে ভোটারদের বুঝিয়ে দেয়। এবং ভোটারদের এক প্রকার বার্তা দেয়া হয় সংখ্যালঘু ভোট ছাড়াই জিতে আসবে বিজেপি। ফলে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের ভোট বিজেপিকে ৮৯ আসনে জিতিয়ে বিহারের সব থেকে বৃহৎ রাজনৈতিক দলে পরিণত করেছে।

* প্রশান্ত কিশোর ফ্যাক্ট: বিহার বিধানসভার নির্বাচনের আগে প্রত্যাশা জাগালেও ভোটের ফলাফলে কোনো ছাপই ফেলতে পারেনি ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) ‘জন সুরজ পার্টি’। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের খাতাই খুলতে পারেনি তারা। তাদের ৬০ শতাংশেরও বেশি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে। তবে এনডিএ বিরোধী ভোট কাটার ক্ষেত্রে প্রশান্ত কিশোরের দল অন্তত ৩৬ আসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যেখানে এনডিএ প্রার্থীদের জয়ের মার্জিন দশ হাজারেরও কম। 

সবমিলিয়ে একটি নয়, একাধিক কারণে রীতিমতো হতাশাজনক ভরাডুবি ঘটেছে মহাগাঁটবন্ধনের। পরাজয় স্বীকার করে দিয়েছে কংগ্রেস, আরজেডি। তবে এতসবের মধ্যেও আশঙ্কা নীতিশের স্বাস্থ্য। অনেকেই বলছেন, নীতিশের স্বাস্থ্যের যা অবস্থা সেই অবস্থায় পরবর্তী পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রীত্ব চালিয়ে যাওয়া তার জন্য কঠিন। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী পদে নিতিশকে নতুন কাউকে তুলে আনতে হবে। অন্যদিকে, এই কথাও উঠছে যে- রাজ্যের বড় দল হিসেবে বিজেপি উঠে আসায় তারাও মুখ্যমন্ত্রীত্বের দাবি করতে পারে। যদিও কেন্দ্রে নিতিশের সমর্থনে বিজেপির এনডিএ সরকার টিকে থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা অনেকটাই কম।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়