হাদির হত্যাকারীদের ব্যাপারে বাংলাদেশ পুলিশের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে খুনের মূল সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম ওরফে দাউদ খানের দুই সহযোগীর ভারতে প্রবেশের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে মেঘালয় পুলিশ। মেঘালয় পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে এ তথ্য জানিয়েছেন।
রবিবার সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “হাদি হত্যা মামলার মূল আসামি ফয়সাল দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আগামী ৭-৮ দিনের মধ্যে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।” ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আসামিরা ভারতে পালিয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশের একটি ইংরেজি দৈনিক জানিয়েছে, ভারতে প্রবেশের ব্যাপারে সাহায্য করেছেন পূর্তি ও সামি নামে দুই ব্যক্তি।
বাংলাদেশ পুলিশের সেই দাবিকে অস্বীকার করেছে মেঘালয় পুলিশ। একইসঙ্গে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে ‘অসত্য’ বলে দাবি করা হয়েছে।
মেঘালয় পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশের থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করা হয়নি। প্রতিবেদনে উল্লেখিত কোনও অভিযুক্তকে গারো পাহাড়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কোনো গ্রেপ্তারও হয়নি। পূর্তি বা সামিকে মেঘালয়ের কোথাও শনাক্ত বা গ্রেপ্তাার করা হয়নি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের থেকে যাচাই না-করেই বিষয়টি নিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে।’’
মেঘালয় পুলিশকে সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএসএফের (মেঘালয় ফ্রন্টিয়ার) প্রধান ওপি উপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে সন্দেহভাজনদের মেঘালয়ে প্রবেশের কোনো প্রমাণ নেই। বিএসএফ এ ধরনের কোনো ঘটনা সম্পর্কে অবগত নয়। এই দাবিগুলি ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর।”
ঢাকা/শাহেদ