ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মৌচাক মার্কেট খোলা রেখেই সংস্কার

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৩, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মৌচাক মার্কেট খোলা রেখেই সংস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মৌচাক মার্কেট সবকিছু স্বাভাবিক রেখেই মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সংযোগও অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার দোকান মালিক সমিতির করা আবেদনের শুনানি নিয়ে  বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রেজা-ই-রাব্বি খন্দকার, মো. সাইফুল ইসলাম ও আফরিন জাহান খান।

পরে রেজা-ই-রাব্বি খন্দকার বলেন, মৌচাক মার্কেটের দোকানপাট বন্ধ রাখার আদেশ আপিল বিভাগ স্থগিত করেছিলেন। কিন্তু ২৩ জানুয়ারি রাজউকের এক মিটিংয়ে মৌচাক মার্কেট নিয়ে আলোচনা হয়। যাতে বলা হয়, আদালতের আদেশ থাকলেও তারা অন্য উপায় গ্রহণ করবেন। এ আশঙ্কা থেকে মৌচাক মার্কেট বণিক সমিতির পক্ষে সভাপতি দিলদার আহমেদ সেলিম হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন।

তিনি আরো বলেন, এ আবেদনের শুনানি নিয়ে মৌচাক মার্কেটের দোকান খোলা রেখে মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সংযোগও অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

২০১৪ সালের ৭ মে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) মৌচাক মার্কেটের ভবনমালিককে একটি চিঠি দেয়।

এ চিঠিতে বলা হয়, ইমারতটি জীর্ণ ও দৃশ্যত ঝুঁকিপূর্ণ প্রতীয়মান হওয়ায় বুয়েট পুরকৌশল বিভাগের পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক কাঠামোগত উপযুক্ততার সনদ গ্রহণ করে চাওয়া তথ্যাদি এই দপ্তরে দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হলো। সেই সঙ্গে ভবনটির কাঠামোগত উপযুক্ততা নিশ্চিত হয়ে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলো।

এরপর বুয়েট নিরীক্ষা করে। আর বুয়েটের সুপারিশসহ প্রতিবেদন  দাখিল করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজউক গত  বছরের ২ মে ভবনমালিককে আরেকটি চিঠি দেয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়, বুয়েটের কাঠামোগত মূল্যায়ন প্রতিবেদনের পরামর্শ ও কর্তৃপক্ষের ওই নির্দেশনা সত্ত্বেও কাঠামোগত ঝুঁকি হ্রাসে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে দায়িত্বহীনভাবে মার্কেট ব্যবহার অব্যাহত রেখেছেন, যা জীবন ও সম্পদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ইমারত নির্মাণ আইন, ১৯৫২ এর সুস্পষ্ট লংঘন।

এ অবস্থায় মার্কেটটির ব্যবহার বন্ধ করে বুয়েট প্রণীত নকশা মোতাবেক বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে কাজ অবিলম্বে শুরু করার জন্য পুনরায় নির্দেশ দেওয়া হলো। কাঠামোগত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ব্যবহারের দরুন যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে একমাত্র আপনিই (মালিক) এবং আপনার ব্যবস্থাপনা দায়ী থাকবে এবং ইমারত নির্মাণ আইন, ১৯৫২ অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটি চূড়ান্ত নোটিশ বলে গণ্য হবে।

রাজউকের এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মৌচাক মার্কেটের ভবন মালিক আশরাফ কামাল পাশা হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন।

গত বছরের ৬ জুন ওই রিটের শুনানি নিয়ে ভবন সংস্কার সম্পন্ন বা বিল্ডিং কোড অনুসারে সনদ না পাওয়া পর্যন্ত রাজধানীর মালিবাগের মৌচাক মার্কেটের দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

পরে দোকান মালিক সমিতি আবেদনের  শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/মেহেদী/ইভা/এএন

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়