ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পেটের মধ‌্যে কালোজামের মত ইয়াবা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৩, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পেটের মধ‌্যে কালোজামের মত ইয়াবা

দেখতে অনেকটা কালোজামের মতো। আর এই কালোজামগুলো পাকা কলার ভেতরে রেখে কলার টুকরোগুলো গিলে খেয়ে ফেলা হয়। আদতে ঐ কালোজামগুলোর মতো দেখতে বস্তুর মধ‌্যেই থাকে সর্বনাশা ইয়াবা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবেই ইয়াবা পাচারের নতুন কৌশল তৈরি করেছে মাদক কারবারিরা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এ ধরণের বেশ কয়েকটি চালান এরই মধ‌্যে ধরা পড়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে আমজাদ হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য ছিল ওই ব্যক্তি ৩ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে আসছে। বিমানবন্দরের বর্হিনোঙ্গর বিভাগের রাস্তা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে শরীর তল্লাশি করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার পেটের মধ্যে ইয়াবা থাকার কথা স্বীকার করে সে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে থাকা কর্মকর্তা এসআই আতাউর রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘পরে তাকে একাধিক সাগর কলা এবং ওষুধ খাইয়ে বাথরুমে নিয়ে পায়ুপথ দিয়ে ইয়াবাগুলো বের করা হয়। কালোজামের মতো কিছু বের হয়। প্রতিটি কালোজামের ভেতর ২০টি করে ইয়াবা পাওয়া যায়। কালো প্লাস্টিকের কসটেপ দিয়ে মূলত ইয়াবাগুলো মোড়ানো ছিল। যেগুলো কলার সঙ্গে গিলে খেয়ে পেটে নিয়ে আসে সে।

কথা হয় কক্সবাজারের এক মাদক কারবারির সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সে বলছিলো, ‘আগের মতো ইয়াবা আনা সহজ নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সব কৌশল জেনে গেছে। এ কারণে ঝুঁকি নিয়ে পেটের ভেতর করেই ইয়াবা এখন বেশি পাচার হচ্ছে। পেটের ভেতর যেন ইয়াবাগুলো নস্ট না হয় সেজন্য কসটেপ দিয়ে মুড়িয়ে জামের মত বানানো হয়। আমি নিজেও ৩ বার এই পন্থায় ইয়াবা আনি।’

তার ভাষ‌্য মতে মাদক পাচারকারীরদের ১০ জনের মধ্যে ৮ জনই এখন এই কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ ধরণের মাদক কারবারিরা বিমানের অভ্যন্তরীণ রুট ব্যবহার করছে। প্রতিদিনই পাকস্থলিতে করে ইয়াবা আনার ঘটনা ঘটছে। কোন কোন দিন একের অধিক চালানও ধরা পড়ছে।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘পেটের ভেতর ইয়াবাগুলো সর্বোচ্চ ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা রাখা সম্ভব। কিন্তু এর বেশি সময় থাকলে তা পেটের ভেতর বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। এতে মানুষ মারাও যেতে পারে। আব্দুস সবুরসহ দু’জন পাচারকারি পেটের মধ‌্যে ইয়াবা রাখার কারণে আগেই মারা গেছে।’


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯/মাকসুদ/নবীন হোসেন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়