‘আবরারকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল মোর্শেদ’
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামি মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলামের বাবা রবিউল ইসলাম বলেছেন, ‘আমার ছেলে আবরারকে পানি খাওয়াতে ও ডাক্তারের কাছে নিতে চেয়েছিল। আবরারকে বাঁচানোর জন্য সে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী (২২) হত্যা মামলায় পলাতক চার আসামির অন্যতম মোর্শেদ। রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরার আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন মোর্শেদ। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন মোর্শেদের সাথে আদালতে আসেন তার বাবা রবিউল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে নির্দোষ। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে স্বেচ্ছায় ছেলেকে আদালতের হাতে তুলে দিয়েছি। আমি নিজেও আবরার হত্যার বিচার চাই।
তিনি বলেন, চার্জশিটে উল্লেখ আছে, আবরার পানি খেতে চেয়েছিল। তাকে পানি দেয়া হয়নি। তাকে ডাক্তারের কাছেও নিতে দেয়া হয়নি। আমার ছেলে আবরারকে পানি খাওয়াতে ও ডাক্তারের কাছে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু রবিন তা শোনেনি। আবরারকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল আমার ছেলে মোর্শেদ। এজন্য রবিন মোর্শেদকে শিবিরও বলেছিল।
তিনি আরো বলেন, মোর্শেদ গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহী যায়। ৬ অক্টোবর ঢাকায় আসে। প্রথমে সে তার বড় ভাইয়ের বাসায় যায়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হলে যায়। মামলায় বলা হয়েছে, ৫ অক্টোবর হলের ক্যান্টিনে আসামিরা আবরারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। মিটিংয়ে মোর্শেদ উপস্থিত ছিল। কিন্তু ওই সময় তো মোর্শেদ গ্রামের বাড়িতে ছিল। সে কী করে আবরারকে হত্যার পরিকল্পনা করে? আমার ছেলে নির্দোষ।
ঢাকা/মামুন খান/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন
