ঢাকা     শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২০ ১৪৩১

‘রাজনীতিক উদ্দেশ্যেই ২১ আগস্ট হামলা হয়েছিল’

মাকসুদুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৫, ২০ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘রাজনীতিক উদ্দেশ্যেই ২১ আগস্ট হামলা হয়েছিল’

ফাইল ফটো

রাজনীতিক উদ্দেশ্যেই ২১ আগস্ট হামলা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন গ্রেনেড হামলা মামলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুর কাহার আকন্দ।

সম্প্রতি রাইজিংবিডির সঙ্গে আলাপচারিতায় এ কথা জানান তিনি।

আব্দুর কাহার আকন্দ বলেন, এ ঘটনা (গ্রেনড হামলা) শুধু ভয়ঙ্কর বা ন্যক্কারজনকই ছিল না, অনেক বড় ঘটনাও বটে।  এ কারণে মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাজা হওয়া আসামি, ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী, ভুক্তভোগী, এমনকি হয়রানির শিকার জজ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবদ করা হয়।  এরপরই মূলত হামলার প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসে।

এদিকে, বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে।  এরই মধ্যে এই মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত হয়ে হাইকোর্টের প্রশাসনিক দপ্তরে গেছে।  পেপারবুক যাচাই-বাছাইসহ সব প্রস্তুতি শেষে প্রধান বিচারপতি এই মামলা শুনানির জন্য হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়।  ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তদন্ত শুরু করে।  ২০০৮ সালের জুনে বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই তাজউদ্দীন, হরকাতুল জিহাদের (হুজি-বি) নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।  তদন্তে বেরিয়ে আসে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওই হামলা চালানো হয়েছিল।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই এই মামলার বিচার শুরু হয়।  ৬১ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার এসে এর অধিকতর তদন্ত করে।  এরপর বিএনপির নেতা তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হারিছ চৌধুরী, জামায়াত  নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদসহ ৩০ জনকে নতুন করে আসামি করে ২০১১ সালের ৩ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এরপর দুই অভিযোগপত্রের মোট ৫২ আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ জনকে পলাতক দেখিয়ে বিচার শুরু হয়।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ মামলার রায় হয়।  রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, সাবেক সাংসদ কায়কোবাদসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন দেওয়া হয়।

পড়ুন: ভয়াল ২১ আগস্ট শুক্রবার

মাকসুদ/সাইফ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়