সেই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে দুই মাস ধরে যোগাযোগ ছিল দিহানের

ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া রাজধানীর ইংরেজি মাধ‌্যম স্কুলের সেই শিক্ষার্থীর সঙ্গে দুই মাস ধরে যোগাযোগ ছিল অভিযুক্ত ফারদিন ইফতেখার দিহানের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ধর্ষণের সঙ্গে আর কেউ জড়িত ছিল কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার আদ্যোপান্ত খুঁজতে আমরা তদন্ত করছি। যদিও আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারপরও এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না, গণধর্ষণ ঘটেছে কি না, তাদের দুজনের মধ্যে কোন ধরনের সম্পর্ক ছিল— সব বিষয় আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে প্রাথমিকভাবে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে এতটুকু আমরা নিশ্চিত হয়েছি, ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল দিহানের।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই স্কুলছাত্রীর বয়স বাড়ানো হয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা পুলিশ করেনি। হাসপাতাল ওই শিক্ষার্থীর যে বয়স উল্লেখ করেছে, আমরাও মামলায় সেভাবে উল্লেখ করেছি। তদন্তে এ বিষয়ও পরিষ্কার হবে।’

উল্লেখ‌্য, বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল থেকে ওই শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার বন্ধু দিহানকে আটক করা হয়। দিহান স্বীকার করে, ওই স্কুলছাত্রীকে গ্রুপ স্টাডির কথা বলে দিহানের কলাবাগানের বাসায় ডেকে নেওয়া হয়েছিল।