ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কদমতলীতে ট্রিপল মার্ডার: শফিকুলের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ২১ জুন ২০২১  
কদমতলীতে ট্রিপল মার্ডার: শফিকুলের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন

রাজধানীর কদমতলী থানাধীন মুরাদপুরের একটি বাসা থেকে এক দম্পতি ও তাদের ছোট মেয়ের লাশ উদ্ধারের মামলায় বড় মেয়ের স্বামী শফিকুল ইসলাম অরন্যর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।

সোমবার (২১ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জাকির হোসাইন এ রিমান্ড আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালতে কিছুক্ষণের মধ্যে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

এর আগে রোববার (২০ জুন) এ মামলায় ওই দম্পতির বড় মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

জানা যায়, মেহজাবিনের বাবা মাসুদ রানা ২৬ বছর ধরে সৌদি প্রবাসী ছিলেন। মাঝে মধ্যে তিনি দেশে আসতেন। মাসুদ রানা তার মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুনকে শফিকুল ইসলাম অরন্যর সঙ্গে বিয়ে দেন। এরপর থেকে মেহজাবিন সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য তার মা মৌসুমি ইসলামকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতেন। সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুল ছয় মাস আগে থেকে মাসুদ রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি এবং মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম মোহনীকে হত‌্যার জন্য পরিকল্পনা করেন। মাসুদ রানা তিন মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। মেহজাবিন ও শফিকুল গত ১৮ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাসুদ রানার বাসায় আসেন। রাত ৯টা থেকে বিভিন্ন সময়ে চা-কপি ও পানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মাসুদ রানা, মৌসুমি ইসলাম এবং মোহনীকে তা খাওয়ানো হয়। এতে সবাই অচেতন হলে আসামিরা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে একে একে সবার মৃত্যু নিশ্চিত করে।

এ ঘটনায় মাসুদ রানার বড় ভাই সাখাওয়াত হোসেন মেহজাবিন ও শফিকুলকে আসামি করে কদমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়