ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে র‍্যাব’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ৪ জুন ২০২৩   আপডেট: ১৬:২৮, ৪ জুন ২০২৩
‘প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে র‍্যাব’

এলিট ফোর্স র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে র‌্যাব। তারই অংশ হিসাবে আমাদের অনেক সদস্য অকালে জীবন দিয়েছেন। অনেকে আবার অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। 

রোববার (৪ জুন) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গাংনীতে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত র‌্যাব কর্মকর্তা উত্তম কুমারকে দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন।

ডিজি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে র‍্যাব ফোর্সেস ম্যানডেটের আলোকে নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। র‍্যাবের অভিযানে অদ্যাবধি ১ লাখ ৪১ হাজার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়েছে। বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। যা মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে এলিট ফোর্স র‍্যাবের একটি বড় সাফল্য। র‍্যাব ফোর্সেস মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনসহ সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রায়শই দুঃসাহসিক ও ঝুঁকিপূর্ণ  অভিযান পরিচালনা করার মাধ্যমে সন্ত্রাসমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে। এসব অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত র‍্যাবের ৩৩ জন অকুতোভয় সদস্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এ ছাড়াও, মানবাধিকার রক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে র‍্যাবের এক হাজারের অধিক সদস্যের অঙ্গহানি হয়েছে। এভাবেই সব র‍্যাব সদস্যরা নিজের জীবন বাজি রেখে দেশের তরে সব মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও দেশমাতৃকাকে নিরাপদ রাখতে সর্বদা তৎপর হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশ মাতৃকার জন্য তাদের এ আত্মত্যাগ র‍্যাবের সব সদস্যদের অনুপ্রাণিত করে। বর্তমানে র‍্যাবে কর্মরত সব সদস্যই দেশের তরে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।  

র‌্যাব জানায়, ৩০ মে মেহেরপুরের গাংনী এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে র‍্যাব-১২ এর আভিযানিক দলের ওপর মাদক ব্যবসায়ীরা ধারালো অস্ত্রসহ হামলা করে। মাদক ব্যবসায়ীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে র‍্যাব সদস্য এসআই উত্তম কুমার রায় মাথায় এবং কাঁধে গুরুতরভাবে জখমপ্রাপ্ত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকার কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরবর্তীতে তাকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। 

মাকসুদ/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ