ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কনস্টেবল বাদল হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৭, ৬ জুন ২০২৩   আপডেট: ১৭:৪৮, ৬ জুন ২০২৩
কনস্টেবল বাদল হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসি

১০ বছর আগে রাজধানীর মতিঝিলে পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়া হত্যার মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, লাশ গুমের দায়ে তাদের আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৫ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ রায় ঘোষণা করেন। পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, আসামিরা এতটা বেপরোয়া যে, পুলিশ সদস্যকে পর্যন্ত খুন করতে দ্বিধাবোধ করেনি।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো—রিপন নাথ ঘোষ, বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস,  ইব্রাহিম খলিল ওরফে কসাই খলিল, রতন চন্দ্র দাস ও হুমায়ন কবীর। 

আসামিদের মধ্য বিশ্বজিৎ, ইব্রাহিম ও রতনকে রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর দুই আসামি পলাতক। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল থানাধীন টিঅ্যান্ডটি কলোনি এলাকা থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পকেট থেকে পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়। সেখানে দেখা যায়, তিনি পুলিশ কনস্টেবল। এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল লতিফ মামলা করেন।

পরে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১২ সালের ৯ নভেম্বর মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় রিপন নাথ, বিশ্বজিৎ চন্দ্র ও খোকন নাথ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেপ্তার হয়। এ ঘটনায় তাদের আত্মীয় রাজিব ও গোপাল চন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়। তারা সন্দেহ করে, বাদল মিয়া পুলিশকে তথ্য দিয়ে সজিবকে গ্রেপ্তার করিয়েছে। রিপনের আত্মীয় গোপালের নাম প্রকাশ করে। এ ধারণার বশবর্তী হয়ে ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আসামিরা বাদল মিয়াকে কর্তব্যস্থল শাহবাগ চত্বর থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত হলুদ ট্যাক্সিতে তুলে নিয়ে গিয়ে মতিঝিল থানাধীন কালভার্ট রোড সংলগ্ন এলাকায় গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে। লাশ গোপন করতে টিঅ্যান্ডটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে রাস্তায় ফেলে যায়।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক জিয়াউল আলম। এর পর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩৪ সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

বাদল মিয়া গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন চলাকালে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন।

মামুন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়