ঢাকা     মঙ্গলবার   ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২৫ ১৪৩১

বাইকে বিশ্বে প্রথম ই-ক্লাচ যুক্ত করলো হোন্ডা

মটো কর্নার ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২০, ১৮ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১১:৩৮, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
বাইকে বিশ্বে প্রথম ই-ক্লাচ যুক্ত করলো হোন্ডা

দীর্ঘদিন চালানোর পরেও ক্লাচ লিভারের সঙ্গে অনেক বাইকারই নিজেকে পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারেন না। অনেকেই হাফ ক্লাচ ধরে বাইক চালান, অনেকে ক্লাচের সঠিক অ্যাডজাস্টমেন্টই বোঝেন না। দীর্ঘ সময় যানজটে বাইক চালানোর পর অনেকেই অভিযোগ করেন, ‘ভাই ক্লাচ চাপতে চাপতে হাতটা ধইরা গেছে।’ বাইকারদের এত্তো অভিযোগ, আর প্যারা দূর করতে বিশ্বে প্রথমবারের মতো বাইকে ই-ক্লাচ যুক্ত করেছে হোন্ডা।

ই-ক্লাচ কী: ক্লাচের মূল কাজ হচ্ছে, ইঞ্জিনের সঙ্গে চাকার সম্পর্ক স্থাপন ও বিচ্ছেদ করা। ক্লাচ পুরোপুরি চেপে ধরলে চাকার সাথে ইঞ্জিনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, আবার ছেড়ে দিলে ইঞ্জিনের সঙ্গে চাকার সম্পর্ক জুড়ে যায়। ইঞ্জিন থেকে চাকা পর্যন্ত শক্তি আসার জন্য তাই  ক্লাচ ও গিয়ার বক্স ব্যবহার করা হয়। ক্লাচ লিভারে চাপ দিলে ইঞ্জিন থেকে ক্লাচ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে করে ইঞ্জিনের শক্তি আর গিয়ারবক্স বা চাকায় পৌঁছায় না। এভাবে বাইকের টর্ক, গতি পরিবর্তনে বা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ক্লাচ। এর পাশাপাশি ইঞ্জিন বন্ধ না করেই বাইককে ধীরে সুস্থে থামিয়ে দিতেও সাহায্য করে ক্লাচ।

আরো পড়ুন:

ধরে নিতে পারেন, হোন্ডার ই-ক্লাচ প্রযুক্তিটি কিছুটা ৬০/৭০ দশকের হোন্ডা সুপার কাবের গিয়ার পরিবর্তন ব্যবস্থার মতো। সুপারে কাবে গাড়ির গতি পরিবর্তন বা নিয়ন্ত্রণে ক্লাচ লিভার টেনে ধরার প্রয়োজন ছিল না, শুধু থ্রোটল পরিবর্তন করলেই হয়ে যেতো। ই-ক্লাচ প্রযুক্তিতেও গতি পরিবর্তন কিংবা থামানোর জন্য ক্লাচ লিভার টানার প্রয়োজন নেই। আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে, স্রেফ থ্রোটল ব্যবহার করা এবং শিফট প্যাডেলের মাধ্যমে গিয়ার পরিবর্তন করা। আরও বিশদভাবে বলতে গেলে, হোন্ডা ই-ক্লাচ হল একটি ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল প্রযুক্তি যেটি স্বয়ক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। বাইক থামানো কিংবা গতি পরিবর্তেনের ক্ষেত্রে রাইডারকে আর ক্লাচ লিভার টেনে ধরার প্রয়োজন নেই। কারণ ই-ক্লাচ সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করে। থ্রোটল পরিবর্তিত হলে এই প্রযুক্তিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার কাজটি করে দেয়। 

হোন্ডা তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, ‘এটি মসৃণ ও তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ দেয়, যা প্রো-লেভেলের চেয়ে ভাল  এবং টার্নিংগুলোতে বাইক চালানো আরও মজাদার করে তোলে এবং শহরের মধ্যে চাপমুক্ত চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়।’

মজার ব্যাপার হচ্ছে, হোন্ডা তাদের বাইকে ই-ক্লাচকে ফিক্সড করে দেয়নি। রাইডার চাইলে যে কোনো সময় ম্যানুয়াল বা প্রচলিত ক্লাচ পদ্ধতিতে ফিরে যেতে পারে। এর জন্য তাকে টিএফটি স্ক্রিনে থাকা অপশনে গিয়ে ই-ক্লাচ বন্ধ করে দিতে হবে।

হোন্ডা অবশ্য তাদের সব বাইকে ই-ক্লাচ প্রযুক্তি ব্যবহার করেনি। নতুন CB650R এবং CBR650R- এ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। আগামী দিনে হয়তো হোন্ডা তার অন্যান্য মডেলগুলোতেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে।

ঢাকা/শাহেদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়