ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বাইকের চাকা কেনার আগে যা জানা জরুরি

ইকবাল আব্দুল্লাহ রাজ  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩১, ২৮ মার্চ ২০২৪  
বাইকের চাকা কেনার আগে যা জানা জরুরি

টায়ার কি জিনিস? সহজ করে বললে টায়ার হচ্ছে যানবাহনের জুতা। এটি সিলিকন, রাবার, সুতা/স্টিল ও কেমিক্যাল এর সংমিশ্রণে তৈরি গোলাকার বস্তু।

টায়ার বা চাকার ধারণাটি প্রথম আসে ১৮শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে। এটি আবিষ্কারের পেছনে ছিলেন স্কটল্যান্ডের রবার্ট উইলিয়াম থমসন। 

আরো পড়ুন:

যাই হোক বেশি গভীরে না গিয়ে আপাতত বাইকের টায়ারের দিকে ফোকাস দেই। বাইকের ক্যাটাগরি ভেদে একেক ধরনের বাইকে আমরা একেক ধরনের টায়ার দেখতে পাই, যেমন রোড টায়ার, অফরোড  এবং ডুয়াল পারপাস টায়ার। 

গঠনের ওপর ভিত্তি করে এই টায়ারগুলো আবার দুই ধরনের হয়। যেমন - রেডিয়াল ও বায়াস। 
রেডিয়াল টায়ারে স্টিল বেল্ট ব্যবহার করা হয়, যা ৯০ ডিগ্রি বক্রাকারে বসানো থাকে এবং বায়াস টায়ারে ব্যবহার করা হয় রি এনফোর্সিং কর্ড, যা ৪৫ ডিগ্রি বক্রাকারে বসানো থাকে। 

রেডিয়াল এবং বায়াস টায়ারের মধ্য কিছু ব্যবহারিক পার্থক্য এবং সুবিধা-অসুবিধা আছে। 

রেডিয়াল টায়ারের সুবিধা:

১. উচ্চ গতিতেও রেডিয়াল টায়ার তেমন গরম হয় না। এর ফলে বাইকের পারফরমেন্সে হেরফের হয় না।
২. পাংচার হবার প্রবনতা কম থাকে।
৩. ওয়াইড ফুটপ্রিন্টের কারণে বেশি স্ট্যাবিলিটি দেয়।

অসুবিধা:

১.টায়ার নয়েজ তুলনামূলক বেশি হয়।
২. দাম বেশি।

বায়াস টায়ারের সুবিধা:

১. শক্ত সাইড ওয়াল।
২. অসমান রাস্তায় স্মুথ রাইডিং এক্সপেরিয়েন্স দেয়।
৩. দাম কম। 

অসুবিধা:

১. ট্র‍্যাকশন বেশি হওয়ার কারণে দ্রুত ক্ষয় হয়
২. হাই রোলিং রেজিস্ট্যান্সের কারণে  ফুয়েল খরচ বেড়ে যায়। 
৩. স্মুথ রাস্তায় কিছুটা ভাইব্রেশন অনুভূত হয়। 
৪. পাংচার হওয়ার প্রবনতা তুলনামূলক বেশি। 
৫. উচ্চগতিতে টায়ার গরম হয়ে যাওয়ার কারণে কর্নারিং এর সময় টায়ার রোল ওভার হওয়ার প্রবনতা থাকে, যা হাই স্পিড কর্নারিংয়ের ক্ষেত্রে ঝুকিপূর্ণ। 

কোয়ালিটি ও ব্র্যান্ড ভেদে টায়ারের মেয়াদকাল থাকে ৪ থেকে ৬  বছর পর্যন্ত হয়। টায়ারের গায়েই এর উৎপাদনের তারিখ উল্লেখ করা থাকে। তাই ভাল পারফরমেন্স পেতে চলতি বছরের উৎপাদিত টায়ার কিনে ব্যবহার করা উচিত।

টায়ারে থাকা TWI লেখাটি হচ্ছে ওয়ার ইন্ডিকেটর, অর্থাৎ টায়ারের TWI খাজের গভীরতাকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে মাঝখানের খাঁজের গভীরতা যাচাই করা যায়। গভীরতা ২ মিলিমিটারের নিচে নেমে গেলে বুঝতে হবে টায়ার পরিবর্তন করার সময় চলে এসেছে। 

সঠিক পারফরমেন্স পেতেও টায়ারে সঠিক এয়ার প্রেশার রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। টায়ারে কত প্রেশার রাখতে হবে তা আপনার বাইকের ব্যাক চেসিস বা সুইং আর্মে লেখা থাকে। অবশ্যই এটি অনুসরণ করবেন এবং মাঝে মাঝেই টায়ার প্রেশার চেক করবেন।

এখন বেশিরভাগ বাইকেই টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হয়। এর সুবিধা হলো পাংচার হলেও চট করেই হাওয়া বেরিয়ে যায় না। ফলে রিপেয়ার শপ পর্যন্ত সহজেই যাওয়া যায়। 

দাম একটু বেশি হলেও ভালো ব্র্যান্ডের টায়ার ব্যবহার করা উচিত। কারণ চাকার উপর ভর করেই আপনার বাইকটি চলাফেরা করে। তাই টায়ার নিয়ে কোনো হেলাফেলা নয়। 

টায়ার সম্পর্কিত আরো জিজ্ঞাসা ও মতামত কমেন্টে লিখে যেতে পারেন, আজ এ পর্যন্তই।

লেখক: অ্যাডমিন, Bike Doctor BD

 


 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়