ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফার্স্ট উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৫, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফার্স্ট উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা

‘৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে কোথাও উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের অনুষ্ঠান করা যাবে না’ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আসন্ন বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, “বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট যাতে সুন্দরভাবে উদযাপন করা হয় সেজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হবে। থার্টিফার্স্ট নাইটও খুব কাছাকাছি সময়ে। খ্রিস্টান ভাইয়েরা যাতে সুন্দরভাবে বড়দিন উদযাপন করতে পারেন এবং থার্টিফার্স্ট নাইটে যাতে কোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা না হয়, সেজন্য এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘থার্টি ফার্স্ট নাইটে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর রাজধানীসহ সারাদেশে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের গান-বাজনার আয়োজন করা যাবে না। খ্রিস্ট্রীয় নববর্ষকে কেন্দ্র করে রাস্তায় বা ফ্লাইওভারে কনসার্ট, নাচ-গানের আয়োজন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে সব বার বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালানো হবে। থার্টিফাস্ট নাইটে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

‘বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ভুভুজেলা বাজানো, পটকা ও আতশবাজি ফোটানো যাবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা থেকে ১ জানুয়ারি সকাল ১০টা পর্যন্ত বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রও বহন করা যাবে না।”

তিনি বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার থাকা গাড়িগুলো ভেতরে ঢুকতে পারবে।’

থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাজধানীসহ সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “সারাদেশে প্রায় তিন হাজার ৫০০টি চার্চের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি খ্রিস্টানদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী কাজ করবে। বিশেষ করে কাকরাইল, মিরপুর, বনানীসহ যেসব স্থানে চার্চ রয়েছে সেখানে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। সিসি ক্যামেরাসহ বিশেষ প্রয়োজনে প্রবেশ মুখে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টরসহ অন্যান্য ব্যবস্থা থাকবে। তাছাড়া বড়দিন উপলক্ষে পুলিশের কন্ট্রোল রুম থাকবে। চার্চের একজন করে ফোকাল পয়েন্টে যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে।

‘২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে সব চার্চগুলোতে। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কূটনৈতিক এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।”

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্টনাইট নিয়ে কোন ধরনের আশঙ্কা আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো আশঙ্কা নেই, আমি আগেই বলেছি আমরা প্রতিটি বিশেষ দিনে কিংবা জাতীয় দিবসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আগে সভা করে থাকি। যাতে সবাই নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান পালন করতে পারেন।’

জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।


ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়