ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণায় যুগান্তকারী রায়

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ৬ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণায় যুগান্তকারী রায়

‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ’

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের এই ভাষণ এখনও বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা দেয়। স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। ৭ মার্চের ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে আগেই স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করে গেজেট জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মুজিববর্ষ শুরুর প্রারম্ভে আদালতের এই রায়কে যুগান্তকারী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, উচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস ঘোষণা করা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

এ বিষয়ে রায় প্রদানকারী কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার রাইজিংবিডিকে বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ ছিল প্রারম্ভিক স্বাধীনতার ঘোষণা। এই ভাষণের পরেই বাঙালি জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা পেয়েছিলেন। মুজিববর্ষ শুরুর প্রারম্ভে ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস করতে হাইকোর্টের রায়কে আমি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করি। এই রায় মুজিববর্ষের আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। আদালতের এই রায়ের ফলে আগামীতে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয়ভাবে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক দিনটি পালিত হবে।

৭ মার্চ নিয়ে রিটকারী আইনজীবী ড. বশির আহমদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস ঘোষণার রায় এ জাতির জন্য মুজিববর্ষ শুরুতে অন্যতম সেরা উপহার। এই রায়ের ফলে ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া ও দিবসটি জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা। আমি এ রিট মামলার আইনজীবী হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি।

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা করে এক মাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এছাড়া এই মুজিববর্ষের মধ্যেই দেশের সব জেলা-উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত একটি রিটে জারি করা রুলের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি এ এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এছাড়া আদালত প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে ৭ মার্চের ভাষণের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

এর আগে রেসকোর্স ময়দানে একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের স্থান ও একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থান সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ ও অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন জনস্বার্থে ২০০৯ বছরের ২৫ জুন হাইকোর্টে রিট করেছিলেন।

 **


ঢাকা/মেহেদী/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়