ব্রাজিল থেকে আর গম আনব না : কামরুল
এনআর || রাইজিংবিডি.কম
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম (ফাইল ফটো)
সংসদ প্রতিবেদক : খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘ব্রাজিল থেকে আমরা আর গম আনব না।’ এই গম দেখতেই খারাপ লাগছে। তবে আমদানি করা গম পচা বলে গণমাধ্যমে কথা উঠলেও তা এখনো পরীক্ষায় প্রমাণিত নয় বলে জানান তিনি।
শনিবার জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বক্তব্যে প্রথমবারের বিরূপ অভিজ্ঞতায় ব্রাজিল থেকে আর গম আমদানি না করার কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমদানিকৃত গম আমরা পরীক্ষা করছি। পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনে এই গম নষ্ট করে ফেলা হবে।’ চূড়ান্ত পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার আগে এই বিষয়ে আর মুখ খুলবেন না বলে জানান তিনি।
ব্রাজিল থেকে দুই লাখ টন গম আমদানির কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইউক্রেন সংকটকে দায়ী করেন খাদ্যমন্ত্রী।
কামরুল বলেন, ‘গত সরকার আমলে ৫ লাখ টন গম আমদানির জন্য ইউক্রেনের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা হয়েছিল। তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন করে আড়াই লাখ টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। কয়েক দফা মিটিংয়ে দাম ও মান চূড়ান্ত করার পর ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। এই সময়ে দেশটি হঠাৎ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এই সময় বাংলাদেশের গমের মজুত ৬৮ হাজার টনে নেমে আসায় দ্রুত আমদানির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেখানে সর্বনিম্ন দরদাতা দুই প্রতিষ্ঠান ব্রাজিলের গম দিতে চায়। আমাদের এই গম কেনার অভিজ্ঞতা ছিল না। তবে যে স্যাম্পল আমাদের দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো আমরা পরীক্ষা করে দেখি। এই গম লাল ও দানাগুলো ছোট।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই গমে অভিজ্ঞতা নতুন হওয়ায় সায়েন্স ল্যাব ও আরো এক জায়গায় পরীক্ষা করানো হয়েছে। তবে পরীক্ষায় আমরা দেখি, এগুলো খাওয়ার অনুপযোগী নয়।’
তিনি বলেন, পরীক্ষাগারে পুরোপুরি পরীক্ষা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছার আগেই কেউ একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছে গমের স্যাম্পল পৌঁছে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সেই স্যাম্পল দেখে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। কেন এমন হলো তা দ্রুত বের করে সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, সেই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের ১৫-১৬টি জেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আবারও ল্যাবে দেওয়া হয়েছে। যার রিপোর্ট আগামী তিন দিনের মধ্যে হাতে পাবেন। এরপরই বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কথা বলা হবে।
তবে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম বিতরণ করা হলেও তা নিয়ে খুব একটা বিতর্কিত কথাবার্তা হয়নি বলে জানান তিনি। আর কাউকে এ গম জোর করেও দেওয়া হয়নি। বর্তমানে বিভিন্ন গুদামে দেড় লাখ মেট্রিক টন গম রয়েছে বলে জানান তিনি।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ জুন ২০১৫/এনআর/দিলারা/এএন
রাইজিংবিডি.কম