ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরেছে ২৪২ প্রাণ, আহত ৩৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৭, ৯ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরেছে ২৪২ প্রাণ, আহত ৩৩১

যাত্রী কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলন

ঈদুল আজহায় দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২০১টি দুর্ঘটনায় ২৪২ জন নিহত এবং ৩৩১ জন আহত হয়েছেন।

সড়ক, রেল ও নৌ-পথে ২৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১৭ জন নিহত ও ৩৭০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

রোববার (০৯ আগস্ট) দুপুরে নগরীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য তুলে ধরেন।  ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০২০ প্রকাশের সময় উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ, এডিটরস ফোরামের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টারের চেয়ারম্যান নুর নবী শিমু, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক, জিয়া প্রমুখ।

সংগঠনটির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল প্রতি বছরের মতো এবারো প্রতিবেদনটি তৈরি করে। এতে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদকেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানীর বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

গত ২৬ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত এই ১৩ দিনে ২০১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪২ জন নিহত এবং ৩৩১ জন আহত হন।  এ সময়ে রেলপথে চারটি দুর্ঘটনায় এক জন নিহত হন। একই সময়ে নৌ-পথে ৩৩টি ছোট-বড় বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনায় ৭৪ জন নিহত ও ৩৯ জন আহত এবং ১৭ জন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে।
 
এবারের ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ৪ আগস্ট (মঙ্গলবার)। এদিন ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত হন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ৮ আগস্ট (শনিবার)। এদিন ৮টি দুর্ঘটনা ঘটে। একদিনে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে ৩১ জুলাই। ওইদিন ৫৫ জন আহত হন।

এই সময়ে ৮৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১০৬ জন নিহত এবং ৬৫ আহত হয়।  অন্যদিকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৫২.২৩ শতাংশ।  আগামী ঈদে এ দুটি ঘটনা এড়ানো সম্ভব হলে সড়ক দুর্ঘটনার প্রায় ৯৬.০১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংগঠিত দুর্ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট যানবাহনের ৩২.৫৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৯.৩৫ শতাংশ বাস, ১৯.৩৫ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-লরি,১০ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা-ইজিবাইক-ভ্যান-সাইকেল, ৮.০৬ শতাংশ অটোরিকশা, ৭.৭৪ শতাংশ কার-মাইক্রো-জিপ ও ২.৯০ শতাংশ নছিমন-করিমন-ট্রাক্টর-লেগুনা-মাহিন্দ্রা এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল। 

দুর্ঘটনার ধরণ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩২.৩৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৪৯.২৫ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ১৩.৪৩ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে।  মোট দুর্ঘটনার ৩.৯৮ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০.৯৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে হয়েছে।

ঢাকা/মামুন/জেডআর

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়