ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ধারণাকে মানুষের কাছে বোধগম্য করেছিলেন’

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৫, ১ ডিসেম্বর ২০২০  
‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ধারণাকে মানুষের কাছে বোধগম্য করেছিলেন’

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ধারণাকে বঙ্গবন্ধু ধারবাহিকভাবে সাধারণ মানুষের কাছে বোধগম্য ও জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। এভাবে তিনি জাতি গঠন ও জাতি রাষ্ট্রের ধারণাকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন।’

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজের প্রথম দিনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনাকালে এসব কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ লেকচার সিরিজের আয়োজন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সাবেক অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল সংকল্প, সাহস, উদারতা এবং দরিদ্রদের প্রতি সমবেদনা। বঙ্গবন্ধু দৃঢভাবে বিশ্বাস করতেন, দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করার জন্য উর্বর ভূমি ও বিশাল জনগোষ্ঠীসহ সবকিছুই তার ছিল। দারিদ্র‌্য দূরীকরণ এবং বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জনকল্যাণের নীতি অনুসরণ করেন জাতির পিতা। তিনি মাত্র তিন বছর সাত মাসে সংবিধান সংশোধনসহ ৫১৯টি আইন পাশ বা সংশোধন করেছিলেন, যাতে জনগণের সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি ১৯৭৪ সালে সমুদ্রসীমা আইন পাশ করেছিলেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন সূচনা বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও মননশীলতার ওপর গবেষণা প্রয়োজন। এ কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রথম কার্যালয় সুগন্ধায় বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর ডিপলোমেটিক স্ট্রাটেজি অ‌্যান্ড রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন প্রকৃতপক্ষে জনগণের বন্ধু এবং অত্যন্ত দূরদর্শী নেতা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। জনগণের অধিকার আদায়, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, বঞ্চনা ও বৈষম্য দূরীকরণে তিনি তার সমগ্র জীবন ব্যয় করেছেন। জনগণের ক্ষমতায়নে সারাজীবন কাজ করে গেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ৬৮টি বৈদেশিক মিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। বুদ্ধিজীবী, শিক্ষকসহ প্রবাসীদের অংশগ্রহণে সেমিনার, ওয়ার্কশপ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বনেতাদের কাছে আমরা বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে চাই।’

ড. মোমেন জানান, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি সম্মেলন আয়োজন করতে চায়। বঙ্গবন্ধু সব সময় বিশ্বাস করতেন, উন্নয়নের জন্য শান্তি প্রয়োজন। অসহিষ্ণুতার জন্য বিশ্বে সংঘাত, যুদ্ধ ও সন্ত্রাস বাড়ছে। ঘৃণা ও অসহিষ্ণুতার জন্য রোহিঙ্গাদের পৈতৃক ভূমি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, দুজন বিশিষ্ট কূটনীতিককে সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে একজন বাংলাদেশি ও একজন বিদেশিকে স্বর্ণপদক দেওয়া হবে। বিজয় দিবসে তাদের নাম ঘোষণা করা হবে।

লেকচার সিরিজের প্রথম দিনে আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা অধ‌্যাপক ড. গওহর রিজভী। ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। দেশ-বিদেশের কূটনীতিক, বুদ্ধিজীবী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শেণি-পেশার মানুষ ভার্চুয়ালি ও সরাসরি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

ঢাকা/হাসান/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়