ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

লকডাউনে থেমে নেই কর্মযজ্ঞ, সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫০, ১৪ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ১১:০২, ১৪ এপ্রিল ২০২১
লকডাউনে থেমে নেই কর্মযজ্ঞ, সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী 

সারাদেশে করোনা সংক্রমণ রোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিন চলছে। একইসঙ্গে এ দিনটি বাংলা নববর্ষের ১৪২৮ সালের প্রথম দিন। ফলে লকডাউন ও পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠানসহ দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে।

তবে এ দিনেও থেমে নেই মানুষের কর্মযজ্ঞ। বিশেষ করে নিম্নমধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ সকালে বেরিয়ে পড়েছেন তাদের কর্মের খোঁজে। পাশাপাশি জরুরি সেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে। এক্ষেত্রে কিছু অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের নিজস্ব পরিবহনে অফিসে যাতায়াত করছেন। এছাড়া হেঁটে বা রিকশায় হাসপাতালে যেতে দেখা গেছে অনেক স্বাস্থ্যকর্মীদের।

এদিকে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউনকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিশেষ করে লকডাউনে অযথা ঘোরাফেরা করা মানুষের সংখ্যা কমানো এবং এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় মানুষ যাতায়াত করছে কি না তা মনিটরিং করা হচ্ছে।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সড়কে কোনো ধরনের গণপরিবহন চলছে না। তবে জরুরি সেবার আওতায় বিভিন্ন ধরনের পণ্য পরিবহন, অফিসের স্টাফ বাস, লাশবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট সেবা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিবহনসহ রিকশা সড়কে চলাচল করছে। 

রাজধানীর খিলগাঁও, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ, মৌচাক ও মগবাজার এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। 

সকালে খিলগাঁও পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় দায়িত্বরত খিলগাঁও জোনের পুলিশ পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘অপ্রয়োজনে সাধারণ মানুষ ঘোরাঘুরি করছে কিনা তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সড়কে রিকশা ছাড়া কোনো গণপরিবহন বা ব্যক্তিগত পরিবহন চলছে না। তবে পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপ চলাচল করছে। একইসঙ্গে জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত ছোটখাটো মাইক্রোবাস প্রাইভেট কার চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে।’ 

লকডাউনের মধ্যে কাজের খোঁজে খিলগাঁও মড়ে অপেক্ষা করছিলেন মানিক মিয়া। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। লকডাউনে রাস্তায় কেন বের হয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পেট কি আর লকডাউন মানবে? কাজ না করলে খাব কি? আমি দিনমজুর। দিনে রোজগার করি, দিনে খাই। কাজ না করলে সংসার চালাবো কীভাবে? আজ যদি রোজগার না করি, তাহলে পরিবারের খাবার জুটাবে না।’ 

মগবাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ মুরগি বিক্রেতা শুকুর আলী রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমি ফেরি করে মুরগি বিক্রি করি। লকডাউনের মধ্যে বাইরে বের হয়েছি পেটের দায়ে।’
 

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়