ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

দেশে লকডাউন কার্যকর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ৫ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ১৮:৩৭, ৫ এপ্রিল ২০২১
দেশে লকডাউন কার্যকর

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বাংলাদেশে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে লকডাউন কার্যকর হয়েছে। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সন্ধ‌্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত‌্যপণ‌্য কেনা, চিকিৎসা, মরদেহ দাফন প্রভৃতি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।

লকডাউন কার্যকর করতে এরইমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস‌্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা গেছে। 

এদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধে গণপরিবহন বন্ধসহ ১১ নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এ সময়ে সব ধরনের গণপরিবহন (সড়ক নৌ, রেল ও অভ‌্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ‌্য পরিবহন, উৎপাদন ব‌্যবস্থা ও জরুরি সেবার ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না। নির্দেশনায় সীমিত আকারে সরকারি অফিস চালানোর কথাও বলা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনের ১১ দফা নির্দেশনা হচ্ছে-
১. সব ধরনের গণপরিবহন সড়ক, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবার ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া, বিদেশগামী ও বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

২. আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিসেবা যেমন: ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, স্থলবন্দর, নৌবন্দর ও সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবার জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস এবং তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।

৩. সব সরকারি-আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস-আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়ে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা নেওয়া করতে পারবে। শিল্প-কারখানা ও নির্মাণকার্য চালু থাকবে। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে শিল্প-কারখানা এলাকায় নিকটবর্তী সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়, চিকিৎসাসেবা মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।

৫. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়া যাবে না।

৬. শপিং মলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে দোকানগুলো পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং অন্য কোনো শহরে যেতে পারবে না।

৭. কাঁচা বাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

৮. ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

৯. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সুবিধাজনক স্থানে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

১০. সারা দেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।

১১. এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়