ব্যাংকপাড়ায় ভিড়, তৎপর প্রশাসন
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
চার দিন পর ব্যাংক খুলেছে আজ (৫ জুলাই)। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক ও শেয়ারবাজার খোলা থাকায় বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলে যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে।
সোমবার সকাল থেকে সড়কে রিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, স্টাফ বাস, পণ্য পরিবহনের গাড়ির চাপ লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে, লকডাউনকে কেন্দ্র করে সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম। অপ্রয়োজন ঘর থেকে বের হলে জরিমানা করা হচ্ছে। আর মাস্ক না পরে সড়কে চলাচল করার জন্য আটক করা হচ্ছে।
আজ সকালে ১০টার দিকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের আওতায় মতিঝিল এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনীসা কর্মকার। ওই এলাকায় প্রায় আধা ঘণ্টা আদালত কার্যক্রম পরিচালনাকালে তিনি ৬ জনকে জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনীসা রানী কর্মকার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘মাস্ক না পড়ে সড়কে ঘুরে বেড়ানোর কারণে আইন অনুযায়ী জরিমানা করা হয়েছে।'
এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের চেকপোস্টগুলোতে কড়া নজরদারি রাখতে লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে কাঁচাবাজার ও জনসমাগম হওয়ার স্থানগুলোতে পুলিশি টহল জারি রয়েছে।
মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক মো. রাজিব রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘সকাল থেকে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী মতিঝিল এলাকায় লকডাউন কার্যকর করতে সক্রিয় রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। মতিঝিল এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ব্যাংক খোলা থাকায় লোকজনের উপস্থিতি কিছুটা বেড়েছে।’
মতিঝিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনাকালে বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক মেজর মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ বলেন, ‘গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ মতিঝিলের গাড়ির অনেক চাপ রয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা বাইরে বের হওয়া প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করার চেষ্টা করছি। যাদের বের হওয়ার কারণ যৌক্তিক না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
ঢাকা/এনটি/ইভা