ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

অলিগলিতে কোরবানির পশুখাদ্যসহ অনুসঙ্গের দোকান

নুরুজ্জামান তানিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৫, ১৮ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১৪:৪৭, ১৮ জুলাই ২০২১

মাত্র দুই দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। এ ঈদকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে শুরু করেছে রাজধানীর পশুর হাটগুলো। ক্রেতারাও পশু কিনতে ভিড় করছেন হাটগুলোতে। আর সেই সঙ্গে পশুখাদ্যসহ অন্যান্য অনুসঙ্গ বিক্রির ধুম লেগেছে। ঈদকে কেন্দ্র করে কোরবানির হাটসহ অলিগলিতে বিভিন্ন ধরনের পশুখাদ্যের সম্ভার নিয়ে বসেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।

রোববার (১৮ জুলাই) রাজধানীর খিলগাঁও, বাসাবো, মালিবাগ রেলগেট, রামপুরা, মেরাদিয়া, আফতাব নগরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। এসব এলাকার পশুখাদ্যের ভ্রাম্যমান দোকানগুলোতে ১০ বছরের শিশু থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধরাও পণ্য বিক্রি করছেন। এ কাজে পিছিয়ে নেই নারীরাও।

বছরের অন্যান্য সময়ে তারা অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকলেও কোরবানির ঈদের আগে বাড়তি আয়-রোজগার করতে এ ব্যবসায় নামেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে বিভিন্ন পণ্যের হকার, রিকশা-ভ্যান, ঠেলাগাড়ি চালকরা পেশা পরিবর্তন করে এখন পশুখাদ্য বিক্রেতা বনে গেছেন। আবার অনেক কিশোর ও বেকার যুবকরা এ মৌসুমী ব্যবসায় নেছেন।

এসব ভ্রাম্যমান দোকানে পশুখাদ্য হিসেবে শুকনো খড়, খৈল, খড়ের ভুষি, গমের ভূষি, খেসারির ডালের ভূষি, ধানের গুঁড়া, কাঁচাঘাস, কাঁঠালপাতা, চিটা গুড় ও মোটা লবন বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া হোগলার চাটাই ও খাটিয়াও বিক্রি হচ্ছে দোকানগুলোতে।

এসব এলাকায় আঁটি প্রতি কাঁচাঘাস ২০-৬০ টাকায়, শুকনো খড় ২০-৪০ টাকায়, কাঁঠালপাতা ২০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কেজি প্রতি খৈল ৮০ টাকায়, গমের ভূষি ৫০-৬০ টাকায়, খেসারি ডালের ভূষি ৫০-৬০ টাকায়, ধানের গুঁড়া ৩০-৪০ টাকায়, চিটা গুড় ১০০-১২০ টাকায় ও মোটা লবন ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কোরবানির অনুসঙ্গ হিসেবে প্রতি পিস চাটাই ১৫০ থেকে ৪০০ টাকায় এবং মাংস কাটার জন্য খাটিয়া ৩০০-৮০০ টাকায় আকার ভেদে পাওয়া যাচ্ছে।

দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার মোড়ে ভ্রাম্যমান দোকান সাজিয়েছেন আমেনা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আগে পিঠা বিক্রি করতাম। ঈদে বাড়তি আয়ের জন্য গত কয়েকদিন ধরে এ ব্যবসায় নেমেছি। ক্রেতারা আসছেন, ভালই বিক্রি হচ্ছে। কুরবানির ঈদ শেষ হলে আবার পিঠা বিক্রি করব।’

খিলগাঁও এলাকায় শুকনো খড় ও ভুষি বিক্রি করছেন ১০ বছরের জানে আলম। তিনি বলেন, ‘বড় ভাই দোকান দিয়েছে। আমরা শুধু বিক্রি করছি। গত দুই দিন ধরে দোকান বসেছে। বিক্রি বেশ ভালোই হচ্ছে।’

রামপুরা এলাকায় ভ্যানে খড় বিক্র করছেন সুমন মিয়া। তিনি বলেন, ‘আগে ভ্যান গাড়ি চালাতাম। করোনার কারণে লকডাউনের মধ্যে অনেক দিন ঘরে বসে রয়েছি। তাই ঈদকে ঘিরে এ ব্যবসা শুরু করেছি। অল্প পুঁজিতে ব্যবসা ভালই হচ্ছে।’

ঢাকা/এনটি/এমএম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়