লকডাউনের ৮ম দিন: পিকআপ-মোটরসাইকেলে ঢাকায় ফিরছেন মানুষ
লকডাউনের ৮ম দিনে পিকআপ-মোটরসাইকেলে ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে জনসাধারণকে। মানিকগঞ্জের সড়ক-মহাসড়কে শুক্রবারও (৩০ জুলাই) ছিলো ঢাকামুখী গাড়ির চাপ।
এদিকে, বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার থামছে না। কঠোর লকডাউনকে উপেক্ষা করে প্রতিদিনের মতো আজো রাজধানী ঢাকায় ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ।
ছুটির দিনে রাজধানীর রাস্তা ফাঁকা
এদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্রবার, ৩০ জুলাই) হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়কে যান চলাচল গত কয়েকদিনের তুলনায় অনেক কম দেখা গেছে। তবে জুমার নামাজের পরে পাড়া মহল্লার অলিগলিতে মানুষ লক্ষ্য করা গেছে। রাজধানীর মিরপুর, টেকনিক্যাল, শ্যামলী, কল্যাণপুর, গাবতলী এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
দেখা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের ৮ম দিনে রাস্তায় গাড়ি চলাচল করতে খুব কম দেখা গেছে। লকডাউনের অন্যান্য দিনে রাস্তায় কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা চলাচল করতে দেখা গেলেও আজ তার পরিমাণ ছিলো অনেক কম। আবার সকাল থেকেই বাইরে মানুষের সংখ্যাও সীমিত থাকলেও নামাজের পরে কিছুটা বেড়েছে। তবে আগের মতোই কঠোর অবস্থানে রয়েছে সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তায় যান চলাচল খুবই কম। অল্পসংখ্যক পথচারীকে রাস্তায় দেখা গেছে। রিকশাও দেখা গেছে তুলনামূলক কম। আবার এই রাস্তার প্রতিটি চেকপোস্টে রয়েছে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ সদস্য। চেকপোস্টগুলো দিয়ে চলাচলরত সকল যানবাহনকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে।
কথা হয় মিরপুর-১ নম্বর এলাকায় এক পুলিশ সদস্য তানভীর হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ মানুষ কম বের হয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত যানবাহন ও কম। যারা বের হচ্ছেন তারা অনেকেই হাসপাতালে যাচ্ছেন বলে চেকপোস্টে দাবি করছেন। এছাড়া আজ শুক্রবার হাওয়াতে অনেক অফিস আদালতই বন্ধ। তাই রাস্তায় পরিবহন কম।
তিনি বলেন, বাসার বাইরে কেউ অপ্রয়োজনে বের হলে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিচ্ছি। আমরা কাউকেই সরকারের দেওয়া নির্দেশনার বাইরে যেতে দিচ্ছি না। কেউ বিনা কাজে বের হলে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে বাসায় পাঠিয়ে দিচ্ছি।
সড়ক রিকশার দখলে
কঠোর লকডাউনের অস্টম দিনে রাস্তা ছিলো রিকশার দখলে। রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে রিকশার জটলা দেখা গেছে। জুমার দিন হওয়ায় সড়কে যাত্রীসংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় কম ছিলো।
রায়েরবাগ, কদমতলী, শনীর আখড়া, কাজলা, মাতুয়াইলে এচিত্র দেখা গেছে।
এদিকে, চেকপোষ্টে তল্লাশি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যৌক্তিক কারণ বলতে না পারলে অনেককে জরিমানা কিংবা আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
রায়েরবাগ চেকপোস্টে ককদমতলী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির সঙ্গে জরুরি সেবা, পণ্যবাহী পরিবহন, রিকশা চলাচল বেড়েছে। চেকপোস্টে প্রতিটি গাড়িকে আমরা তল্লাশি করছি। পাশাপাশি লোকজন কেন বের হয়েছেন তার যৌক্তিক কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যা আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
/আসাদ/হাসিবুল/এসবি
আরো পড়ুন