ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতায় সবচেয়ে এগিয়ে খালেদা জিয়া: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ১ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ১৬:১৫, ১ আগস্ট ২০২১
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতায় সবচেয়ে এগিয়ে খালেদা জিয়া: প্রধানমন্ত্রী

ছবি টিভি থেকে নেওয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যায় জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের ইন্ধন ছিলো। হত্যাপরবর্তী বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে খুনিদের বক্তব্যে তা প্রমাণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

রোববার (১ আগস্ট) শোকের মাস আগস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ধানমন্ডি ৩২নম্বরে জাতির পিতার ম্মৃতি জাদুঘর সংলগ্ন এলাকায় মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনিদের স্বীকারোক্তিই বলে দেয় মোশতাক-জিয়াও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে ইন্ধন দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ষড়যন্ত্র একদিন উম্মোচিত হবেই।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি ঋণ শোধে দেশকে সুখী-সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। তবে এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা ছিল, একদিন সেটাও আবিষ্কার হবে। কিন্তু আমাদের কাজ একটা ছিল, প্রত্যক্ষভাবে যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করা।’ 

জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ’- উদ্ধৃতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রক্ত জাতির পিতাও দিয়ে গেছেন। কারণ যখন এদেশের মানুষকে তিনি মুক্ত করেছেন, তখন যারা স্বাধীনতাবিরোধী বা যারা বিজয় চাননি,  তারাই তাকে হত্যা করেছেন।’

এই সময় প্রধানমন্ত্রী ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আত্মস্বীকৃত খুনী ফারুক-রশিদের স্বেচ্ছায় বিবিসিকে দেওয়া ইন্টারভিউ অনুযায়ী সাবেক সেনা শাসক জিয়াউর রহমানকে নেপথ্য শক্তি হিসেবে উল্লেখের তথ্য এবং পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে খুনিদের পুরস্কৃত করায় জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার (জাতির পিতার) রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। সব থেকে বড় কাজ এই দেশ এবং দেশের মানুষ নিয়ে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, দেশের মানুষের উন্নয়ন করা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন করা আমি সব থেকে প্রাধান্য দিয়েছি। তাই পেছনে কে ষড়যন্ত্র করেছেন, কী করেছেন,  সেদিকে না গিয়ে আমার প্রথম কাজ হচ্ছে এই ক্ষুধার্ত, দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে তাদের জীবনমান উন্নত করা।’

তিনি রক্তদান কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে বলেন, ‘এই রক্তদানের মাধ্যমে আমরা একজন মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে পারি, সেটাই হবে সব থেকে বড় কথা। কেননা মানবকল্যাণে আপনি রক্ত দান করছেন।’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাবা, মা, ভাই সব হারিয়েছি কিন্তু একটা আদর্শ নিয়ে পথ চলি, যে কথাগুলো ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে শুনেছি, সেই স্বপ্ন আমার বাস্তবায়ন করতে হবে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারে।’ 

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজক কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতিও বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বেগম মতিয়া চৌধুরী দুস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করেন। 

পারভেজ/ এমএম/এসবি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়