ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৬ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

প্রত্যেক উপজেলায় অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা হবে: প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৫, ২৯ মার্চ ২০২২   আপডেট: ২০:১২, ২৯ মার্চ ২০২২
প্রত্যেক উপজেলায় অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)

সরকার উপজেলা পর্যায়ে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সতর্কতার সঙ্গে দাহ্য পদার্থ ব্যবহারের বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার শুরু করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে (এসএইচএনআইবিপিএস) ‘সিক্সথ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন প্লাস্টিক সার্জারি-২০২২’ এবং ‘মুজিব কর্নার’ ও ‘বঙ্গবন্ধু গ্যালারি’ উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সোসাইটি অব প্লাস্টিক সার্জন অব বাংলাদেশ (এসপিএসবি) অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সব উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে। ওই কমপ্লেক্সগুলোতে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামে সজ্জিত করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন আছে।’

তিনি বলেন, ‘মানুষের দোরগোড়ায় এই বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার প্রতিটি বিভাগে পৃথক ও স্বনির্ভর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।’

ফরিদপুর জেলায় একটি ১০০ শয্যার প্লাস্টিক সার্জারি ও বার্ন ইউনিট স্থাপনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রতিটি বড় জেলায় এ ধরনের ইউনিট প্রয়োজন।’

২০১৩-২০১৪ সালে আন্দোলনের নামে বিএনপি- জামায়াত জোটের পেট্রোল বোমা হামলায় নিরীহ মানুষের মৃত্যুর জন্য তিনি তাদের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা কখনোই জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করেনি।’

বর্তমান সরকার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ৫০ শয্যার বার্ন ইউনিট স্থাপন করেছে, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ওই সময়ে অগ্নিদগ্ধ মানুষকে চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো আধুনিক চিকিৎসাসেবা ছিল না। পরে ডিএমসিএইচে আরও একটি বার্ন ইউনিট স্থাপন করা হয়।’
তিনি জানান, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশে প্রথমবারের মতো সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে একটি পাঁচ শয্যাবিশিষ্ট ইউনিট স্থাপন করেন। এছাড়া, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বঙ্গবন্ধু থানা পর্যায়ে ১০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল স্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশবাসীকে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা দিতে সরকার ২০১৮ সালে সর্বাধুনিক চিকিৎসা সেবাসম্বলিত ৫০০ শয্যার শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল নির্মাণ করে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবা ছিল না। সেজন্য আমরা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নির্মাণ করে মানুষের জন্য আধুনিক চিকিৎসাসেবা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করি।’

‘চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কারও ওপর নির্ভরশীল থাকতে চায় না। তাই, তার সরকার আধুনিক বিজ্ঞানের ওপর গবেষণা পরিচালনায় সব সময় প্রাধান্য দিয়ে থাকে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একটি শক্ত ভিত গড়ে তুলতে সরকার দেশে প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে এবং পরে চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহীতে আরও তিনটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশে অনেকগুলো মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে, যাতে মানুষ প্রাথমিক অবস্থায় ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ পেতে পারে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ও এসপিএসবির সাবেক সভাপতি ডা. সামন্ত লাল সেন এবং এসপিএসবি মহাসচিব ডা. হেদায়েত আলি খান। এসপিএসবি সভাপতি ও এসএইচএনআইবিপিএসের পরিচালক ডা. আবুল কালাম অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন।

পারভেজ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়