ফটোস্টোরি: শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
মাঝে মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা বা রটনাকে ঘিরে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় নীলক্ষেত। ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় এসব ঘটনা-দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা। সোমবারও ঘটেছিল সে রকম একটি ঘটনা।
নিউমার্কেটের কোনো একটি খাবারের দোকানে (মতান্তরে কাপড়ের দোকানে) ঢাকা কলেজের ২-৩ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে তুচ্ছ কোনো ঘটনা নিয়ে বাদানুবাদ হয় ওই দোকানের কর্মচারীদের। এক পর্যায়ে সেটা হাতাহাতিকে রূপ নেয়।
মুহূর্তে সে খবর পৌঁছে যায় কলেজের আবাসিক ছাত্রদের কাছে। অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকা কলেজ, নিউমার্কেট ও মিরপুর রোড এলাকায় শুরু হয়ে যায় শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ।
অতি অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশ এসে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট, লাঠিপেটা এসব করে দুই পক্ষকে কোনমতে সামাল দেয়।
হাজার হাজার ইট ও পাথরের টুকরার পাশাপাশি দু’পক্ষই হামলার সময় ককটেল, লাঠি, রড, হকিস্টিক, পেট্রোল বোমা ব্যবহার করে।
শিক্ষার্থীরা এসময় কয়েকটি বন্ধ দোকানের শাটার ভেঙে, দোকানে রক্ষিত কাপড়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এসময় রোগী বহনকারী একটি অ্যাম্বুলেন্স ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের সামনে দিয়ে ঢাকা মেডিক্যালে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কয়েকজন মিলে সেই নতুন অ্যাম্বুলেন্সকে ভেঙেচুরে একাকার করে দেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক দুই পক্ষের হাতেই আহত হন। কারো কারো ক্যামেরা ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি দুই-তিন জনের মোবাইল কেড়ে নিয়েছে দুই পক্ষই।
রোডের পাশে রাখা মোটরসাইকেল থেকে সব অকটেন বোতলে ভরে নিয়ে নেয় শিক্ষার্থীরা। পরবর্তী সময়ে সেই তেল মিশিয়ে এক ধরনের ‘বোমা’ বানিয়ে তা প্রতিপক্ষের দিকে ছুড়ে মারা হয়।
পুলিশ নিউমার্কেট ফুটওভার ব্রিজ থেকে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল মারতে থাকে। এসময় গ্যাসের তীব্র জ্বালায় দায়িত্বরত সাংবাদিকদের চোখ বাঁচাতে এদিক-সেদিক পানির জন্য ছুটতে দেখা যায়।
পড়ুন: ৫ ঘণ্টার ইটযুদ্ধ ও পুলিশের ‘দিশেহারা’ ভূমিকা
পড়ুন: নিউমার্কেট এলাকা আবারও রণক্ষেত্র, বন্ধ যান চলাচল
পড়ুন: নিউমার্কেটে সংঘর্ষ, রাজধানীজুড়ে অচলাবস্থা
ঢাকা/মেয়া/এনএইচ
আরো পড়ুন