ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বাংলাদেশের জনগণকে স্যালুট করি: প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৭, ২৩ জুন ২০২২   আপডেট: ২২:৫৭, ২৩ জুন ২০২২
বাংলাদেশের জনগণকে স্যালুট করি: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গণমানুষের সমর্থন নিয়ে আমরা পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ নিজেদের অর্থায়নে করতে পেরেছি। ঠিক এভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আর কখনো পরমুখাপেক্ষী হতে হবে না। কারো কাছে হাত পেতে চলতে হবে না। এজন্য বাংলাদেশের জনগণকে আমি স্যালুট করি।’

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নেন তিনি।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাকিস্তান সৃষ্টির সাত মাসের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান সম্পর্কে একটি বৈরী মনোভাব দেখা যায়। বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টাসহ আর্থ-সামাজিকভাবে আমাদের শোষণ, নির্যাতন-নিপীড়ন শুরু হয়। এ প্রেক্ষাপটে জাতির পিতা ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। সৃষ্টিলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণেরই সংগঠন। আওয়ামী লীগ সব সময়ই এ দেশের শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত মানুষের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করে গেছে। এই সংগ্রাম করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। কত পরিবার কষ্ট পেয়েছে, কত মানুষ আত্মত্যাগ করেছে।’

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমরা কেবল জাতির পিতাকে হারাইনি, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনাকেও হারিয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হয়েছিল। জয় বাংলা স্লোগান নির্বাসিত হয়েছিল। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। পরবর্তীতে দ্বিতীয়বার সরকারে আসার পর বাংলাদেশ সারা বিশ্বে একটা মর্যাদা পেয়েছে। আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।’

সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুল ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান করে দিয়েছি। ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ যাতে হয়, সেই পরিকল্পনাও তৈরি করে দিয়েছি। এই ধারাবাহিকতা নিয়ে দেশ চলতে থাকলে দেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ থামাতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘বাবা-মা-ভাই সব হারিয়ে আমি দেশে ফিরে এসেছিলাম। আওয়ামী লীগ আমাকে সভানেত্রী নির্বাচিত করেছিল। জনগণের আশ্রয়েই আমি এসেছিলাম। তাদের মাঝে আমি খুঁজে পেয়েছিলাম আমার হারানো বাবা-মায়ের স্নেহ, হারানো ভাইয়ের স্নেহ। কাজেই এ দেশের মানুষের জন্য যেকোনো আত্মত্যাগে আমি সব সময় প্রস্তুত। আওয়ামী লীগ অর্থ বাংলাদেশের স্বাধীনতা, আওয়ামী লীগ অর্থ বাংলা ভাষায় কথা বলা, আওয়ামী লীগ অর্থ বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ।’

আসাদ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়