এনআইডি ইসির অধীনে রাখার দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে রাখা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সব ধরনের প্রেষণে পদায়ন বন্ধ ও শূন্য পদ পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, প্রস্তাবিত ইভিএম প্রকল্প লজিস্টিকসহ (ওয়্যারহাউজ ও যানবাহন) অনুমোদন এবং প্রস্তাবিত সাংগঠনিক কাঠামো দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করার দাবিতে কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছেন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি সভা করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে লিখিত সিদ্ধান্তগুলো ইসি সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দিয়েছেন তারা।

উল্লিখিত বিষয়ে আগামী ৪ ডিসেম্বর (রোববার) মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ৫ ডিসেম্বর (সোমবার) কালো ব্যাজ ধারণ, ৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) অর্ধদিবস কলম বিরতি পালন করবেন ইসির কর্মকর্তারা। এছাড়া, ওই সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

ঘোষিত কর্মসূচি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, এনআইডি, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও মাঠপর্যায়ের সকল পর্যায়ের কার্যালয়ে একযোগে পালন করা হবে। তবে, ইতোমধ্যে ঘোষিত নির্বাচনী কর্মযজ্ঞ এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ও মহাসচিব রাশেদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নথির অনুলিপি সাংবাদিকদেরও দেওয়া হয়েছে।

কর্মকর্তাদের এসব দাবির বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন তাদের বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো ইসিকে জানিয়েছে। বিধি অনুযায়ী পদোন্নতি এবং শূন্য পদ পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে, এ ক্ষেত্রে পদ শূন্য থাকতে হবে এবং যোগ্যতা থাকতে হবে।’

এনআইডি সেবা ইসির অধীনে রাখার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘কমিশন ইতোমধ্যে তার বক্তব্য স্পষ্ট করেছে। সরকার যেটা বাস্তবায়ন করবে, আমাদের সেটাই বাস্তবায়ন করতে হবে। এটার সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন।’