ঢাকা     সোমবার   ১৭ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ৩ ১৪৩১

ঢাকা দক্ষিণ সিটির চার প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ২৫ মে ২০২৪   আপডেট: ১৬:০০, ২৫ মে ২০২৪
ঢাকা দক্ষিণ সিটির চার প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী 

নির্মিতব্য বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণীবিতান

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ তলা বিশিষ্ট বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণীবিতানসহ চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অপর তিনটি প্রকল্প হচ্ছে—পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়ের বাজার স্লুইস গেট পর্যন্ত আট লেনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ শেখ ফজলুল হক মণি সরণি’ ও ধানমন্ডি লেকে ‘নজরুল সরোবর’ নির্মাণ এবং শাহবাগে ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান’ আধুনিকীকরণ। শনিবার (২৫ মে) রাজধানীর বঙ্গবাজারে এক সুধী সমাবেশে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।  

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণীবিতানের স্থানে ১০ তলা বিশিষ্ট আধুনিক বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণীবিতান নির্মাণকাজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবে পরিণত হচ্ছে। ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ঈদের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে রাজধানীর বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্সের ২ হাজার ৯৩১টি কাপড়ের দোকান পুড়ে কয়েক হাজার ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হন।

১০৬.২৮ কাঠা জমির ওপর নির্মিতব্য ১০তলা বিশিষ্ট বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণীবিতানে চারটি ব্লকে পাঁচটি সাধারণ সিঁড়ি ও ছয়টি অগ্নি প্রস্থান সিঁড়িসহ পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিপণীবিতানের প্রতিটি ব্লকের জন্য আলাদা বাহির ও প্রবেশদ্বার থাকবে। ভবনে বৈদ্যুতিক যান্ত্রিক কক্ষ এবং প্রতিটি ব্লকের প্রতি তলায় চারটি করে শৌচাগার থাকবে। এছাড়া, ভবনের বেসমেন্টে ১৬৯টি গাড়ি ও ১০৯টি মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের সুবিধা থাকবে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ৯৬১ ব্যবসায়ীর সবাইকে বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণীবিতানে পুনর্বাসন করা হবে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে মার্কেটের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।

 এর আগে পুড়ে যাওয়া মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ১৭ থেকে ২২ বর্গফুট আয়তনের দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করতেন। এখন নতুন বিপণীবিতানে প্রতিটি দোকানের আয়তন হবে ৮০ থেকে ১২০ বর্গফুট।

পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়ের বাজার স্লুইস গেট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আট লেনের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ শেখ ফজলুল হক মণি সরণি নির্মাণ করা হবে। ৯৭৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকার এই প্রকল্পের আওতায় ১০ কিলোমিটার নর্দমা, ১০ কিলোমিটার পথচারী হাঁটার ফুটপাত, ৩টি উড়াল সেতু, ৩টি পথচারী পারাপার সেতু, দুই কিলোমিটার সংরক্ষণকারী দেয়াল, তিনটি মসজিদ, ছয়টি যানবাহন বিরতির স্থান ও ছয়টি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হবে। এতে ঢাকা শহরের ভেতরে বাস, ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমার পাশাপাশি বহুলাংশে যানজট নিরসন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ধানমন্ডি লেকের ৫০.৯৬৭ কাঠা এলাকা জুড়ে নজরুল সরোবর নির্মাণ করা হচ্ছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে ‘নজরুল সরোবর’ নামের উন্মুক্ত বিনোদন মঞ্চে একটি ঘাটলা, উন্মুক্ত মিলনায়তন, পথচারীদের হাঁটার পথ, গণপরিসর, রেস্তোরাঁ, বসার স্থান, দৃষ্টিনন্দন বাতি, পর্যাপ্ত সবুজায়ন ও শব্দযন্ত্র স্থাপনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নজরুল ইসলামের স্মৃতিময় মুহূর্ত ও সাহিত্যকর্মসম্বলিত ফলক স্থাপন করা হবে।

শাহবাগে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যানের আধুনিকীকরণ প্রকল্পের মাধ্যম প্রায় ৬০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই শিশু উদ্যানের আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। ১৯৭৯ সালে স্থাপিত এই পার্কে আগে ১১টি রাইড ছিল। আধুনিকায়নের মাধ্যমে সেখানে মেগা ডিস্কও, সুপার এয়ার রেস, ফ্লাইং ক্যারোস্যাল, গ্যালিয়ন, ১২ডি থিয়েটার, মাইন কোস্টার, ক্লাইম্বিং কার, সুপার হ্যাপী সুইং, ওয়াটার ম্যানিয়াসহ অত্যাধুনিক নতুন ১৫ ধরনের রাইডস বসানো হবে।

সেখানে দর্শনার্থীদের জন্য শৌচাগার, চত্বর, রেস্তোরাঁ, বিশ্রামাগার, প্রশস্ত হাঁটার পথ, বসার স্থান ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সুবিধাদি সংযোজন করা হয়েছে।  

পারভেজ/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়