নামজারি, খাজনা, খতিয়ান ও ম্যাপের আরো উন্নত অনলাইন সেবা
বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
মিউটেশন (নামজারি), ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান, খতিয়ান ও ম্যাপ সরবরাহের অনলাইন সিস্টেমের আরো উন্নত ও সমন্বিত সংস্করণ চালু করা হয়েছে।
জনগণকে উন্নত ও সমন্বিত ভূমি সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগ নিয়েছে।
নাগরিকরা land.gov.bd ওয়েবসাইটে মাত্র একবার নিজের মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করে লগইনের মাধ্যমে ই-মিউটেশন, ভূমি উন্নয়ন কর, পর্চা-খতিয়ান ও ম্যাপ বের করতে পারবেন। এগুলো সহজেই প্রিন্ট দিয়ে সংরক্ষণ করা যাবে।
মঙ্গলবার ভূমি মন্ত্রণালয় উপসচিব সেলিম আহমেদের সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নতুন সফটওয়্যারগুলো চালুর পর কিছু কারিগরি ত্রুটি ও আন্তঃসমন্বয়-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে সাধারণ জনগণ প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু সেবা পেতে ভোগান্তির মুখে পড়েছিল। বিষয়টি নজরে আসায় দ্রুত তা সমাধান করা হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, এখন ব্যক্তি ও সংস্থার ভূমি উন্নয়ন কর সহজেই অনলাইনে জমা দিয়ে দাখিলা প্রিন্ট এবং অনলাইনে মিউটেশনের আবেদন করা যাচ্ছে। আবেদন মঞ্জুর হলেই ডিসিআর ফি জমা দিয়ে অনলাইনে খতিয়ান প্রিন্ট করা যাচ্ছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় বলছে, ভূমিসেবার ওয়েবসাইটে পর্চা-খতিয়ান ও ম্যাপ তোলার ফি জমা দিয়ে ঘরে বসেই খতিয়ান ও ম্যাপ পাওয়া যাচ্ছে।
সিস্টেমটি নতুন হওয়ায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব ভূমিসেবা পেতে কিছু কারিগরি সমস্যার খবর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে, যা সঙ্গে সঙ্গে সমাধানও করা হচ্ছে, বলা হয়েছে গণবিজ্ঞপ্তিতে।
এতে বলা হয়েছে, নাগরিকদের অসুবিধা দূর করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে একটি হটলাইন ১৬১২২ চালু করা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় বলছে, ভূমিসেবা পেতে সার্ভারসহ যেকোনো সমস্যার মুখে পড়লে নাগরিকরা তাদের সমস্যার কথা ১৬১২২ হটলাইনে জানাতে পারবেন। হটলাইন নম্বরটি ২৪ ঘণ্টাই খোলা।
এদিকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমি বা স্থাবর সম্পত্তি নামজারির বিষয়টি স্পষ্ট করে সম্প্রতি একটি পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
পরিপত্র্রে বলা হয়েছে, মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশদের যৌথভাবে দাখিল করা নামজারির আবেদন বণ্টননামা দলিল ছাড়াই করা যাবে।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসার পর ভূমিসেবা সহজ ও ত্বরাণ্বিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইন ও দাপ্তরিক সেবা নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল