ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

প্রেস ব্রিফিংয়ে খলিলুর রহমান

সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ২০১২ সালেও একই কথা বলেছিলেন ড. ইউনূস

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৫, ২ এপ্রিল ২০২৫   আপডেট: ১৮:১১, ২ এপ্রিল ২০২৫
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ২০১২ সালেও একই কথা বলেছিলেন ড. ইউনূস

বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান

প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সেভেন সিস্টার্স খ্যাত সাত রাজ্য নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে মন্তব্য করেছেন, তা নতুন কিছু নয়। ২০১২ সালেও একই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তখন তো এত আলোচনা-সমালোচনা হয়নি। শুধু তিনি নন, ২০২৩ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রীও প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। 

বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার বিমসটেক সম্মেলন বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে‌ তিনি এসব কথা বলেন।

ড. খলিলুর রহমান বলেন, ভারতের সেভেল সিস্টার নিয়ে চীনে যে কথাটা প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এটি নতুন নয়। এর আগে ২০১২ সালেও একই কথা তিনি বলেছিলেন। ২০২৩ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লিতে দাঁড়িয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সেভেন সিস্টার্স ও বাংলাদেশকে একটা ভ্যালু চেইনে আবদ্ধ করার কথা বলেন। তিনি এ প্রসঙ্গে সিঙ্গেল ইকোনমি জোনের কথাও বলেছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, কানেকটিভি এ অঞ্চলের সম্ভাবনা দুয়ার খুলে দেবে। যাদের জন্য সমুদ্রে এক্সেস পাওয়াটা কঠিন, তাদের জন্য আরো বেশি। আমরা কিন্তু জোর করে কারো ওপর কানেকটিভি চাপিয়ে দেব না। সে সুযোগও আমাদের নেই। কেউ যদি সেই সুযোগ নেয়, ভাল কথা। প্রধান উপদেষ্টা সম্পূর্ণ সৎ উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছেন। এখন যদি কেউ অন্য কোনো ব্যাখ্যা দেন, তাহলে তো কিছু করার নেই। শুধু এটুকু বলতে পারি, ভালো উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেছিলেন।

সম্প্রতি চীন সফরকালে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ‘সেভেন সিস্টার্স’ খ্যাত সাত রাজ্যের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত সাতটি রাজ্য। এই রাজ্যগুলো ভারতের স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। সমুদ্রে পৌঁছানোর জন্য তাদের যোগাযোগের কোরো উপায় নেই। এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক বাংলাদেশ।’ 

তিনি বলেন, ‘এটি বিশাল এক সম্ভাবনা উন্মোচন করে। এটি চীনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণ হতে পারে।’

তার মন্তব্য নিয়ে ভারতের রাজনীতিবিদ, সাবেক আমলা ও নীতিনির্ধারকদের মাঝে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত দিল্লি আনুষ্ঠানিকভাবে কোরো প্রতিক্রিয়া না জানালেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল প্রকাশ্যে কথা বলেছেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে খলিলু রহমান বলেন, আমাদের এ অঞ্চলে কানেকটিভি ছাড়া এগোনো সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিকভাবে যে অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা যাচ্ছে, তা মোকাবিলা করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ বা কানেকটিভিটি থাকতে হবে। জোটবদ্ধভাবে যেটা মোকাবিলা করা সম্ভব, সেটি একক কারো পক্ষে করা সম্ভব না। সেই সম্ভাবনার কথাই বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। 

ঢাকা/হাসান/রফিক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়