ঢাকা     শনিবার   ১৭ মে ২০২৫ ||  জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩২

গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের কর্তৃত্ব কমল, খসড়ার নীতিগত অনুমোদন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৯, ১৭ এপ্রিল ২০২৫   আপডেট: ১৭:১৩, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের কর্তৃত্ব কমল, খসড়ার নীতিগত অনুমোদন

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃত্ব কমাতে গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই অধ্যাদেশে সরকারের মালিকানা ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে এবং ৯০ শতাংশ রাখা হয়েছে ব্যাংকের সুবিধাভোগীদের জন্য।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

ব্রিফিংয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “এখানে গ্রামীণ ব্যাংক আগে যখন কাজ করত, তখন একটি মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করত। সেই মূল্যবোধ হচ্ছে যারা গ্রামীণ ব্যাংকের সুবিধাভোগী, তাদেরই অংশগ্রহণ থাকবে ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে। কিন্তু আমাদের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করা হয়েছিল এবং গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানায় তার যে দর্শন ছিল, যে ঋণ নেবে তার হাতেই সুবিধা থাকবে, সেখান থেকে সরিয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশে নিয়ে আসা হয়।” 

তিনি বলেন, “আজকে যে অধ্যাদেশ সংশোধন করা হলো, তার মাধ্যমে আগে গ্রামীণ ব্যাংক ভূমিহীনদের জন্য কাজ করতো, এখন বিত্তহীনদের একটি সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পরিসর থেকে বেরিয়ে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “অধ্যাদেশে বোর্ডের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, যারা এই ব্যাংকের সুবিধাভোগী, তাদের মধ্যে থেকে ৯ জন নির্বাচিত হয়ে আসবে। এই ৯ জনের মধ্যে থেকে আবার ৩ জন মনোনীত হবেন এবং তাদের মধ্যে থেকে একজন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হবেন। এখানে আরেকটি বিষয় হচ্ছে, পরিশোধিত মূলধন আগে ছিল সরকারের ২৫ শতাংশ এবং সুবিধাভোগীদের ৭৫ শতাংশ। এখন হয়ে গেছে ১০ শতাংশ এবং ৯০ শতাংশ।”

বিচার বিভাগের সংস্কার শিগগিরই শুরু
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বাস্তবায়ন শিগগিরই শুরু হবে বলেও জানান রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, “বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিদ্যমান সিআরপিসিতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হবে। টেলিফোনে বা খুদে বার্তাসহ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সমন জারি হবে।”

ঢাকা/হাসান/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়