ভার্চুয়ালি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, ৪৪ উপজেলায় হচ্ছে পাবলিক লাইব্রেরি
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
দেশের ৪৪টি উপজেলায় উপজেলা পরিষদের অধীনে পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব লাইব্রেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণের কার্যক্রম নিয়েছেন বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্ধারিত ডিজাইন এবং প্রাক্কলন অনুযায়ী লাইব্রেরি নির্মাণ করা হবে।
রংপুর বিভাগের রংপুর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা জেলার ৪১টি উপজেলায়, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা এবং খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলাসহ মোট ৪৪টি উপজেলায় এ পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি লাইব্রেরি নির্মাণের জন্য ব্যয় হবে ৫৩ লাখ টাকা। ৪৪ লাইব্রেরি স্থাপনের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের অনুকূলে এরই মধ্যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, “আমি বিভিন্ন উপজেলায় গিয়ে দেখেছি কোথাও কোথাও শিক্ষার হার ৪২ শতাংশেরও নিচে। যেটা আমাদের জাতীয় গড়ের অর্ধেকের কাছাকাছি। এটা থেকে বোঝা যায় সেখানে শিক্ষার কি অবস্থা! তাই আমাদের প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত ছিল যে উপজেলাগুলোতে শিক্ষার হার জাতীয় গড়ের চেয়ে কম, সেখানে আমরা পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপন করবো। এটার জন্য বাজেট বরাদ্দ না থাকায় আমাদের বিশেষ বরাদ্দ থেকে এই উদ্যোগটা নিয়েছি।”
তিনি বলেন, “আমরা মাত্র ২৩ কোটি টাকায় ৪৪টি উপজেলায় পাবলিক লাইব্রেরি করছি। প্রতিটি লাইব্রেরির জন্য ৫৩ লাখ টাকা খুব বেশি কিছু নয়। আমাদের লক্ষ্য থাকবে সারা দেশের প্রতিটি উপজেলায় যেখানে ডেডিকেটেড পাবলিক লাইব্রেরি নেই, সবগুলো উপজেলা আমরা এটা বাস্তবায়ন করব। ৪৪টা উপজেলা হচ্ছে আমাদের স্টার্টিং। সব এরিয়াতে আমরা এটা বাস্তবায়ন করব।”
উপদেষ্টা বলেন, “তবে আমাদের ফোকাস এরিয়া থাকবে একটা আধুনিক মানসম্মত লাইব্রেরি। যেখানে সবাই আসতে আগ্রহ বোধ করবেন। লাইব্রেরিটা আসলেই কাজে লাগবে। অন্যান্য সরকারি ভবনের মতো পড়ে না থাকে-সেটাই থাকবে আমাদের মূল লক্ষ্য।”
তিনি আরো বলেন, “রাজনৈতিক প্রিভিলেজের কারণে কোনো এলাকায় বেশি উন্নয়ন আর কোনো এলাকায় কম উন্নয়ন যাতে না হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। এমনটা যাতে আর না হয়। আমরা দেখেছি গোপালগঞ্জের একটি উপজেলায় গেলে দেখা যাচ্ছে কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, আর রংপুরের আরেকটি জেলায় কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ মিয়াসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ