দুই প্রশ্নের জবাবে যা জানালেন শহিদুল আলম
নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী ফ্লোটিলায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী ড. শহিদুল আলম ও তার সহযাত্রীদের অবস্থান এবং গাজায় পৌঁছানোর সময়সীমা নিয়ে প্রশ্ন বাড়ছে। অনেকেই জানতে চাইছেন—‘আপনারা এখন কোথায়?’ ‘আর কতক্ষণ সময় লাগবে?’ প্রথম প্রশ্নের জবাবে শহিদুল আলম জানিয়েছেন, যাত্রার সঠিক অবস্থান জানতে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ওয়েবসাইটের ট্র্যাকার ব্যবহার করা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়। ফরেনসিক আর্কিটেকচার, যারা আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনুসন্ধানী চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিল, তারা ফ্লোটিলার অংশীদার হিসেবে ‘কনশানস’ ও ‘থাউজ্যান্ড ম্যাডলিন’ নৌবহরের গতিপথ এই সাইটে (https://globalsumudflotilla.org/tracker/) পর্যবেক্ষণ করছে।
দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে শহিদুল আলম জানিয়েছেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ইসরায়েলি বাহিনীর (আইডিএফ) প্রতিক্রিয়ার ওপর। তবে, আগের অভিজ্ঞতা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, তারা ফ্লোটিলাকে গাজায় ঢুকতে দেবে না। বরং অংশগ্রহণকারীদের গ্রেপ্তার করে হয়ত ফেরত পাঠানো হবে অথবা কারাগারে পাঠানো হতে পারে। কোথায় এবং কখন সেটি ঘটবে, তা আগেভাগে বলা অসম্ভব।
শহিদুল আলম বলেছেন, “এটি আমাদের হাতে নেই। এ কারণেই আপনাদের সাহায্য প্রয়োজন। যদি বিশ্বব্যাপী মানুষ মাঠে নেমে চাপ তৈরি করতে পারেন, তবে হয়তো আমাদের পক্ষে গাজায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। এই প্রচেষ্টা কেবল অংশগ্রহণকারীদের নয়, বরং এটি অধিকার ও ন্যায়বিচারের লড়াই। তাই সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে—সংগঠিত হোন, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন, পদক্ষেপ নিন।”
ড. শহিদুল আলম রবিবার (৫ অক্টোবর) ফেসবুকে এ দুই প্রশ্নে উত্তর দেন। সেখানে তিনি আরও লেখেন, আজ সকালে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের একটি সংহতি বার্তা পেয়ে আমি আনন্দিত। তিনি দেশবাসীসহ বিশ্বব্যাপী বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের একাত্মতার বার্তা পাঠিয়েছেন।
ঢাকা/রফিক