বেগম রোকেয়া নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের মূলে আঘাত হেনেছিলেন: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ফটো।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তাঁর ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে সমাজে নারীর প্রতি অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের মূল ভিত্তিতেই আঘাত হেনেছিলেন। তার শিক্ষাচেতনা, সাহস ও আদর্শ আজও নারীর মুক্তি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার অনুপ্রেরণা।
রোকেয়া দিবস উপলক্ষে তারেক রহমান নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নারী জাগরণের অগ্রদূত, নারী অধিকার আন্দোলনের আলোকবর্তিকা ও সাহিত্যিক বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪৫তম জন্ম ও ৯৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বরে জন্ম এবং ১৯৩২ সালের একই দিনে মাত্র ৫২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
রোকেয়ার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তিনি বলেন, “রক্ষণশীল পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে উঠলেও রোকেয়া সেই সময়ের অগ্রদূত, নারী জাগরণের এক আলোকদিশারী। সমাজে নারীর পিছিয়ে পড়া তিনি নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই উপলব্ধি করেছিলেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল, শিক্ষাই নারীর আত্মমর্যাদা।”
তারেক রহমান বলেন, “নারী শিক্ষার বিস্তারে রোকেয়া বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন, কারণ এর মাধ্যমেই ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটানো সম্ভব। বিশেষ করে পিছিয়ে থাকা এ দেশের মুসলিম নারীদের শিক্ষায় আলোকিত করতে তিনিই প্রথম উদ্যোগ নেন। নারীমুক্তির বাণী প্রচার গিয়ে তাঁকে সমাজের গোঁড়া রক্ষণশীলদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল। তবুও তিনি ছিলেন কর্তব্যকর্মে স্থির, অদম্য ও অবিচল।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “রোকেয়া তাঁর ক্ষুরধার লেখনির শক্তিতে নারীর প্রতি সমাজের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের মূলে আঘাত করেছিলেন। সংসার, সমাজ ও অর্থনীতির কেন্দ্রে নারীর স্বায়ত্তশাসন ও আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রশ্নকে তিনি প্রাধান্য দিয়েছিলেন। তাঁর মতে, নারীর নিজের সক্ষমতা অর্জনের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা অত্যাবশ্যক। নারীদের স্বাবলম্বী করতে অসংখ্য বাধা সত্ত্বেও তিনি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।”
তারেক রহমান আশা প্রকাশ করেন, “রোকেয়ার ভাবনার কেন্দ্রে রয়েছে নারীর প্রকৃত স্বাধীনতা। তাঁর কর্মময় জীবন ও আদর্শ, নারী সমাজকে আরও উদ্যমী করবে এবং অনুপ্রাণিত করবে।”
ঢাকা/ইভা