তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন
জায়গা মিলছে না রাজধানীর হোটেলগুলোতে, বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ
ফাইল ফটো
সবকিছু ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে স্বাগত জানাতে সারা দেশে রাজধানী ঢাকায় আসছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) অনেকে রাজধানীতে চলে এসেছেন। তারা বিভিন্ন হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউজগুলোতে রাত্রিযাপন করবেন। একসঙ্গে অসংখ্য মানুষ আসায় রাজধানীর আবাসিক হোটেলগুলোতে জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে হোটেল-মোটেলগুলো। অধিকাংশ হোটেল-মোটেলে বাড়তি ভাড়া চাওয়া হচ্ছে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপির নেতাদের দাবি, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ আসছেন বাইরে থেকে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় ঢুকেছেন।
নগরীর অধিকাংশ হোটেলেই কক্ষ আগেই বুকিং হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাতেগোনা যেসব কক্ষ খালি আছে, সেগুলোও বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতের মধ্যেই পূর্ণ হয়ে যাবে।
হোটেলে জায়গা না পেয়ে অনেকে ঢাকায় বসবাসরত স্বজনদের বাসা কিংবা আশপাশের মেসে আশ্রয় খুঁজছেন।
উত্তরা, গুলশান ও বনানীতে চাপ সবচেয়ে বেশি
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় তারেক রহমানের সম্ভাব্য গণসংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে মহাখালী, গুলশান, বনানী ও উত্তরা এলাকায় হোটেলগুলোতে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়েছে। একইসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়-সংলগ্ন কাকরাইল, পল্টন, আরামবাগ ও বিজয়নগর এলাকার হোটেলগুলোতেও উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
লক্ষণীয় বিষয় হলো—উচ্চ মানের হোটেলের তুলনায় মধ্যম ও নিম্ন মানের হোটেলগুলোতেই চাপ বেশি।
‘সব রুম বুকড’
উত্তরার গ্র্যান্ড প্লাজা হোটেলের কর্মকর্তা জিসান হোসেন বলেছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবরে বহু মানুষ ঢাকায় এসেছেন। আমাদের সব রুম ইতোমধ্যে বুকড।
তোপখানা রোডের হোটেল নিউ ইয়র্কে ৫০টি কক্ষ আছে। ফ্রন্ট ডেস্ক কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেছেন, এই মুহূর্তে ১০টি কক্ষ খালি আছে। তবে, রাতের মধ্যেই সেগুলো বুকিং হয়ে যাবে।
ফকিরাপুলের মুন হোটেলে কোনো কক্ষ খালি নেই বলে জানিয়েছেন ম্যানেজার সোহেল হোসেন।
পল্টন এলাকার হোটেল ডিলাক্সে উঠেছেন ঝালাকাঠি থেকে আসা বিএনপি নেতা আব্দুল করিম নয়ন। তিনি বলেন, সকালে অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি হোটেলে রুম পেয়েছি। আমাদের সঙ্গে আসা কয়েকজন জায়গা না পেয়ে আত্মীয়দের বাসায় উঠেছেন।
একই এলাকায় অবস্থান করা সালাম হোসেন নামের আরেক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, মানুষের চাপ দেখে হোটেলগুলো আগের চেয়ে বেশি ভাড়া নিচ্ছে।
রাজধানীতে মোট কতগুলো হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউজ আছে, তার সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। বাংলাদেশ হোটেল ও গেস্ট হাউজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সদস্য আবুল কাশেম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হোটেল ব্যবসা মন্দার মধ্যে ছিল। তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ও সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে অনেক এলাকায় হোটেল ব্যবসা আবার জমে উঠেছে।
তিনি জানান, সারা দেশে বর্তমানে ১০ হাজারের বেশি থাকার উপযোগী হোটেল ও গেস্ট হাউজ আছে। এসবের প্রায় অর্ধেক ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা/এএএম/রফিক