ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ছবিতে কমলা-ট্রাম্পের বেড়ে ওঠা

ফটো ফিচার ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫১, ২ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১২:০৩, ২ নভেম্বর ২০২৪
ছবিতে কমলা-ট্রাম্পের বেড়ে ওঠা

হ্যারিস জীবনের শুরুতে অনেকগুলো বছর কাটিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়াতে। ট্রাম্প বেড়ে উঠেছেন নিউ ইয়র্কে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর মাত্র তিন দিন। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস নির্বাচনি প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাদের বক্তৃতা, সমাবেশের ভিড়ে অভিবাদন জানানো কিংবা বিমানের সিঁড়ি থেকে নামা এমন ছবি নিয়মিতই দেখছেন পাঠক। তবে ভিন্ন কিছু ছবি প্রকাশ করেছে বিবিসি। যেসব ছবিতে দেখা যাবে তাদের দুজনের বেড়ে ওঠা। এমন কিছু দুর্লভ ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের ফটো ফিচার।

 

আরো পড়ুন:

ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসের মা ডা. শ্যামলা গোপালান ক্যান্সার গবেষক। মাত্র ১৯ বছর বয়সে শ্যামলা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। মা ও বোন মায়ার সঙ্গে কমলা (সবার বামে)।

বাবা ফ্রেডেরিক ক্রাইস্ট ট্রাম্প ও ম্যারি অ্যানের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৩ বছর বয়সে ট্রাম্পকে নিউ ইয়র্কের মিলিটারি একাডেমিতে ভর্তি করে দেন তার বাবা। ট্রাম্প সম্পর্কে তার বাবা একবার বলেছিলেন, ‘ওর দূরদর্শিতা প্রশংসনীয়, আর সে যাতেই হাত দেয় তা'ই যেন সোনায় পরিবর্তিত হয়।’

 

মায়ের কাজের সুবাদে কানাডার মন্ট্রিলে কৈশোর কেটেছে কমলা হ্যারিসের। ১৯৭৬ সালে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে তিনি কানাডার দ্বিতীয় বৃহৎ নগরী মন্ট্রিলে চলে যান, তখন তাঁর বয়স ১২ বছর। কানাডা থেকে হাইস্কুল পাস করে কমলা ১৯৮২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। অন্যদিকে, ট্রাম্পের সামরিক স্কুলে শিক্ষা শুরু হয় ১৯৫৯ সালে। সেখান থেকে তিনি প্রশিক্ষণ নেন যা তার নেতৃত্বের দক্ষতা গঠনে সহায়তা করে।

 

ছোটবেলা থেকেই হ্যারিসকে তার মা নাগরিক অধিকার আন্দোলনের গুরুত্ব শিখিয়েছিলেন। ২০০৪ সালে ওয়াশিংটনে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের মুক্তির দাবির আন্দোলনে অংশ নেন তিনি।

পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনার পর ট্রাম্প পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেন।

কমালা হ্যারিস ১৯৮৯ সালে আইনে স্নাতক হন। এরপর ১৯৯০ সালে কমলা হ্যারিস আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতিগত সম্পর্কের মতো রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে সোচ্চার হতে থাকেন কমালা হ্যারিস।

২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন ট্রাম্প। ২০২০ সালেও তিনি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য রিপাবলিকান প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই বছর করোনাভাইরাস মহামারির আধিক্য দেখা যায়। ৭ কোটি ৪০ লাখ ভোট পেয়েও জো বাইডেনের কাছে ৭০ লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে মনোনীত হওয়ার পরই জো বাইডেন তার রানিং মেট হিসাবে কমালা হ্যারিসকে বেছে নিয়েছিলেন। তার সম্পর্কে বাইডেন বলেছিলেন, ‘কমলা স্মার্ট, শক্ত, অভিজ্ঞ এবং একজন প্রমাণিত যোদ্ধা।’

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম কোন দেশ হিসেবে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হওয়ার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিলো।

ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিস প্রথম বিদেশ সফর করেছেলিন গুয়াতেমালা।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফর ছিল ২০১৭ সালে সৌদি আরবে।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

ঢাকা/ইভা

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়