একসময় মাছ আমদানি করতাম, এখন রপ্তানি হচ্ছে: শাজাহান

বিএনপির শাসনামলে মাছ উৎপাদন না হওয়ায় বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো, মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেছেন, এখন মাছ রপ্তানি হচ্ছে।

বুধবার (২২ মে) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় মিলনায়তনে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মৎস্যজীবী লীগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উদ্দেশ্য ছিল, জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, যে বাঙালি মাছে-ভাতে বাঙালি ছিল, বিএনপি ক্ষমতায় এসে ডালে-ভাতে বাঙালি বলতে লাগল। সে সময় বিএনপি মাছ উৎপাদন করতে পারেনি। তখন আমাদের বার্মা থেকে আনা মাছ খেতে হয়েছে। একসময় আমরা আমদানি করতাম, এখন রপ্তানি হচ্ছে।

বিএনপির আন্দোলনকে ‘কাগজের বাঘ’ বলে অভিহিত করেন শাজাহান খান। তিনি বলেন, ‘কাগজে বাঘের ছবি থাকলেও হুংকার দিতে পারে না। সন্ত্রাসী দলের কাছে আমরা গণতন্ত্র আশা করতে পারি না। শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের লড়াই করে এসেছেন। একমাত্র শেখ হাসিনাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারেন’।

শাজাহান খান বলেন, বিদেশি শক্তির ওপর বিএনপি ভর করেছিল। শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে ভয় করেন না। শেখ হাসিনা ব্যতীত বাংলাদেশ পরিচালনার জন্য দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি তৈরি হয়নি।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ঢাকা শহরে মৎস্যজীবী করতে হবে না। গ্রামে যেতে হবে। যেখানে জেলেদের ওপরে অত্যাচার, সেগুলো বক্তব্যে বলতে হবে। নেতৃবৃন্দকে বলব, ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যেতে হবে। 
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বীকৃতির মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। ঢাকায় বসে থাকলে হবে না।

বিএনপি-জামায়াত রাজপথে আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করছে, অভিযোগ করে মোফাজ্জেল হোসেন মায়া বলেন, জিয়াউর রহমান এক হাতে মাংস খেতেন, আরেক হাতে ফাঁসির রায় দিতেন। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জনকে ফাঁসি দিয়েছেন। জিয়ার পরিবার খুনির পরিবার। এই পরিবার ক্ষমতায় আসলে আবার খুনির রাজ্য হয়ে যাবে।

মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মো. সায়ীদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নষ্করের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।