ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারলেও দুর্নীতি বন্ধ হয়নি: সাইফুল

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৫, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৫:৫৫, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারলেও দুর্নীতি বন্ধ হয়নি: সাইফুল

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, “বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে পারলেও দুর্নীতি কিন্তু বন্ধ হয়নি। যে সরকারকে আমরা প্রতিনিয়ত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি, এই সমর্থনকে তারা দুর্বলতা হিসেবে বিবেচনা করছে।”

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বিদ্যুৎ বিভাগের স্বেচ্ছাচারীতা অনিয়ম, দূর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানি প্রতিরোধে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, “বর্তমানে সামাজিক নৈরাজ্য খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই নৈরাজ্যকে যদি দমানো না যায় তাহলে তা রাজনৈতিক নৈরাজ্যে পরিণত হবে। নির্বাচন যদি কোন কারণে বিলম্বিত হয়, তাহলে বাংলাদেশে গভীর বিপর্যয় পড়তে যাচ্ছে।”

সাইফুল হক বলেন, “আমি বিদ্যুৎ খাতের চুরি ও দুর্নীতি রোধ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার নিকট একটি কমিশন তৈরি করার দাবি জানাচ্ছি। তাছাড়া বিদ্যুৎ খাতে যেসব মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সেসব বিষয়ে পর্যালোচনা গ্রহণ করা দরকার। যদি কমিশন গঠনে বিলম্ব হয়, তাহলে বিদ্যুৎ খাত নিয়ে একটি গণশুনানির আয়োজন করতে হবে।তাছাড়া গ্রাহকের ওপর যেভাবে প্রিপেইড মিটার চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।”

মতবিনিময় সভায় বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ পাম্প মালিক সমিতির পক্ষে আনাউর রহমান বলেন, “আমরা বর্তমানে ১ কিলোওয়াটে ডিমান্ড চার্জ ৪২ টাকা দিয়ে থাকি। অন্যদিকে প্রিপ্রেইড মিটারের ক্ষেত্রে আমাদের ১৬৬ টাকা দিতে হচ্ছে।এই অতিরিক্ত চার্জের হিসাব আজ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিভাগে নেই। অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিল প্রদানের ক্ষেত্রে ০-২০০ ইউনিট পর্যন্ত প্রতি ইউনিটের মূল্য এক হতে হবে এবং স্লাপ পদ্ধতির বিল বাতিল করতে হবে। দেশে কুইকরেন্টাল ও বিদেশিদের কাছ থেকে চড়াদামে বিদ্যুৎ ক্রয় করে সরকার টাকা অপচয় করছে, যার দায় সম্পূর্ণ গ্রাহকের ওপর পড়ছে। এসব চুক্তি বাতিল করে দেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সোলার পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিদ্যুৎ এর দাম কমাতে হবে।”

তিনি বলেন, “গাইবান্ধা জেলায় ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি টাকা বেশী বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ করা হলে সে সময় বিদ্যুৎ বিভাগ তদন্ত করে। পরবর্তীতে ঐ বিল সমন্বয় করার কথা থাকলেও তা আজও করা হয়নি। অতিরিক্ত বিল সমন্বয় না করে প্রায় ১০০টির মতো মামলা দিয়ে গ্রাহক হয়রানি করা হচ্ছে।”

এ তিনি সময় পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো:
১. প্রি-প্রেইড মিটার সংযোগ বন্ধ করতে হবে।
২. ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া বাতিল করতে হবে।
৩. স্লাপ পদ্ধতির নিল বাতিল করে ০-২০০ ইউনিট পর্যন্ত ফ্লাট পদ্ধতিতে বিল নিতে হবে।
৪.কুইকরেন্টালসহ বিদেশ থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ ক্রয় বন্ধ করতে হবে।
৫.পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে অধিক মনোযোগী হতে হবে। 

ঢাকা/রায়হান/সাইফ 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়