ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

১১ দিনের নতুন কর্মসূচি ইসলামী আন্দোলনের

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৮:৫৪, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১১ দিনের নতুন কর্মসূচি ইসলামী আন্দোলনের

সংবাদ স‌ম্মেলন ক‌রে নতুন কর্মসূ‌চি ঘোষণা ক‌রেন দলের মহাসচিব অধ‌্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ।

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিসহ ৫ দফা দাবি‌তে দ্বিতীয় ধাপে ১১ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা ক‌রে‌ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

কর্মসূচি হলো, পয়লা অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৫ দফা গণদাবির পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে গণসংযোগ, ১০ অক্টোরব ঢাকায় ও বিভাগীয় শহরে গণমিছিল, ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান। দেশের অন্যতম প্রধান ধর্ম হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গা উৎসবের কারণে প্রথম দিকে রাজপথে কোন কর্মসূচি রাখা হয় নাই।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দ‌লের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ স‌ম্মেলন ক‌রে নতুন কর্মসূ‌চি ঘোষণা ক‌রেন দলের মহাসচিব অধ‌্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ।

যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচির প্রেক্ষাপট তু‌লে ধ‌রে দল‌টির মহাস‌চিব ব‌লেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের ইস্যুতে আমরা সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তা করেছি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘ আলাপচারিতায় অংশ নিয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রধান চাওয়া ‘স্বৈরতন্ত্রের স্থায়ী বিলোপ’ পূরণে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়‌নি।”

তিনি বলেন, "জুলাই সনদে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য হয় নাই, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলোর আইনি ভিত্তি নিয়ে টানাপোড়েন এখনো শেষ হয় নাই। ফ্যাসিবাদের সাথে জড়িতদের বিচারে ধীরগতি ও স্বল্পমাত্রা হতাশা তৈরি করেছে। পুলিশের হিসাবমতেই ফ্যাসিবাদের সাথে জড়িত আটক হওয়া ব্যক্তিদের ৭৩ শতাংশ জামিন পেয়ে যাচ্ছে। এমন‌কি, ফ্যাসিবাদের দোসররা মহাসমারোহে নির্বাচন করার ঘোষণা দিচ্ছে।”

সরকারকে সতর্ক করে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, “আমরা সরকারকে বলব, কোনো ধরনের পুর্বসিদ্ধান্ত নিয়ে বসে থাকবেন না। জনতার অভিপ্রায়ের ওপরে কোনো আইন নাই, কোনো সংবিধান নাই। জনগণ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চাইছে, জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাইছে, গণহত্যাকারীদের বিচার চাইছে, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার ও বিচারকালীন নিষিদ্ধতা চাইছে এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাইছে। তাদের এই দাবি পূরণে এই সরকার নৈতিক ও আইনগতভাবে  বাধ্য। আমরা সরকারের সেই দায়বোধকে জাগ্রত করতে চাই। আমাদের এই কর্মসূচিতে যদি তাদের দায়বোধ জাগ্রত না হয় তাহলে সতর্ক করে বলছি, বাংলাদেশের মানুষ দাবি আদায় করার পদ্ধতি জানে।”

ইউনুছ আহমাদ ব‌লেন, “লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কোন প্রচেষ্টাই দৃশ্যমান না বরং সরকার শীর্ষস্থান থেকে নির্বাচনের আগেই ফলাফল নিয়ে বার্তা দেওয়ার এক ধরনে নগ্ন প্রচেষ্টা দেখা গেল জাতিসংঘের বৈঠক যাত্রায়। এমন বাস্তবতায় দা‌বি আদা‌য়ে দ্বিতীয় দফা কর্মসূ‌চি দি‌তে আমরা বাধ‌্য হলাম।”

দাবি-
১) জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে।
২) নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে।
৩) সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
৪) গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হতে হবে।
৫) বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ভারতীয় তাবেদার ও ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের বিচার করতে হবে এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক এবিএম জাকারিয়া, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মুফতি মোস্তফা কামাল, কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়