ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শিক্ষকদের ওপর হামলায় সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে: হাসানাত আবদুল্লাহ 

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৫   আপডেট: ১৯:৩২, ১২ অক্টোবর ২০২৫
শিক্ষকদের ওপর হামলায় সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে: হাসানাত আবদুল্লাহ 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, “রাস্তায় শিক্ষকদের যেভাবে পেটানো হয়েছে, এটি কোনো সভ্য রাষ্ট্রীয় চরিত্র হতে পারে না। অনতিবিলম্বে এই হীন কাজের জন্য সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে। যাদের গ্রেপ্তার করেছেন, তাদের দ্রুত ছেড়ে দিতে হবে।”

রবিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের অবস্থান কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমি যদি শিক্ষকদের প্রথম শ্রেণির নাগরিক না করি, তাহলে কীভাবে প্রত্যাশা করি, তারা প্রথম শ্রেণির নাগরিক গড়ে তুলবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল, তারা পুরনো পথে হাঁটবে না, বরং তারা হবে শিক্ষাবান্ধব সরকার। কিন্তু আমরা দেখলাম, এই সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা হয়েছেন প্রমোশনবান্ধব সরকার। এই সরকারের প্রধান কাজ হলো পোস্টিং দেওয়া। হাসিনার আমলে যারা রাস্তায় এসে তার পক্ষে স্লোগান দিয়েছিল অর্থের বিনিময়ে তাদের পদায়ন অব্যাহত আছে।”

তিনি বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের বিষয়— আমাদের দেশের শিক্ষক যারা আছেন, তারা ১২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে অনেকে চাকরি শুরু করেন। আমার পরিচিত একজন শিক্ষক আছেন, ৩২ বছর ধরে চাকরি করেন। এই সময় পরে ওনার বেতন হয়েছে ২২ হাজার টাকা। এক কেজি ইলিশ মাছের দাম ২ হাজার ৮০০ টাকা। বেতনের ২০ শতাংশও বাড়িভাড়া দেওয়া হয় না।”

এনসিপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, “বিদেশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে শিক্ষা। আর বাংলাদেশে সবার খাওয়া-দাওয়া শেষ করে যদি কিছু থাকে, তাহলে তা শিক্ষকদের দেওয়া হয়। শিক্ষকদের বেতন না দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের পড়াশোনা আশা করা রাষ্ট্রীয় প্রহসন। শিক্ষকদের সব সময় পরিপাটি হয়ে সমাজে থাকতে হয়। অন্য মানুষের মতো তারা থাকে না, কারণ শিক্ষকরা সমাজে উদাহরণ। কিন্তু, তাদের বেতন মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। পরিপাটি-ফিটফাট থাকলেও মাসের শেষ দশ দিন শিক্ষকদের হীনমন্যতা নিয়ে চলতে হয়।”

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার উদ্দেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যখন অসুস্থ হন, তখন তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিতে গেলেন। অথচ, তার উচিত ছিল দেশের মানুষ যেখানে চিকিৎসা নেয়, সেখানে চিকিৎসা নেওয়া। নির্লজ্জের মতো তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিতে গিয়েছেন।”

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়