আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে ঘোষিত রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে: বিএনপি
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে ঘোষিত রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাতে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে ঘোষিত রায়ে দীর্ঘ ১৬ বছরের গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার এবং ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার সহস্রাধিক শহীদের আত্মা শান্তি পাবে এবং তাঁদের পরিবার–পরিজনদের ক্ষোভ কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে।”
“আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিএনপি এ ব্যাপারে জনগণকে সদাসর্বদা সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। একই সঙ্গে বিএনপি অন্যান্য মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সুবিচারের দাবি জানাচ্ছে,” যোগ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “সারা বিশ্বের জনমত এবং বাংলাদেশের জনগণের দাবি ও প্রত্যাশা ছিল, যেন পতিত স্বৈরাচার ও তাঁর দোসরদের মানবতাবিরোধী ও নৃশংস–জঘন্য হত্যাকাণ্ড এবং গণহত্যায় অপরাধের বিচার করা হয়।”
দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এই দীর্ঘ রক্তাক্ত সংগ্রামে শতসহস্র বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সমাজের সর্বস্তরের অসংখ্য নাগরিক গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মামলা-হামলা, নির্যতন-নিপীড়ন ও অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। অবশেষে গণ–অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা-শ্রমিক, নারী-শিশুসহ সহস্রাধিক নাগরিকের আত্মদান, অন্ধত্ব, চিরপঙ্গুত্ব বরণের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের জঘন্যতম ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও আওয়ামী বাকশালি শাসনামলের পতন হয়েছে।”
বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা