ঢাকা     সোমবার   ০৬ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

বর্ষায় জলাবদ্ধতা, শুকনোয় সেচ সংকট! 

রফিকুল ইসলাম মন্টু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৩, ১৯ জুলাই ২০২৩   আপডেট: ১৩:৩৮, ১৯ জুলাই ২০২৩
বর্ষায় জলাবদ্ধতা, শুকনোয় সেচ সংকট! 

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পর নির্মাণ করা হয়েছে এই বেড়িবাঁধ। কিন্তু এ বেড়িবাঁধে নেই স্লুইজগেট

মাত্র এক মাস আগে যে জমির মাটি ছিল শুকনো-কড়কড়ে, সেই জমি এখন ডুবে আছে ৪-৫ ফুট পানির নিচে। শুকনো মৌসুমে সেচের পানির অভাব, আর বর্ষায় জলাবদ্ধতার কারণে ফসলের আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। সর্বনাশা ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের অন্তত দুই বছর ধরে মানুষগুলো লবণ পানির সঙ্গে বসবাস করছে। দিনে এবং রাতে দুইবার জোয়ারের পানি ঢুকেছে বাড়িঘরে। দুই বছর পরে জোড়া লেগেছিল আম্ফান বিধ্বস্ত ভাঙ্গা বেড়িবাঁধের। ফলে জোয়ারের পানি আটকানো সম্ভব হলেও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এরই কুফল ভোগ করছে বর্ষাকালে। ২০২০ সাল থেকে এই অবধি চার বছর ধরে কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি পতিত থাকছে এ কারণে। 

প্রাকৃতিক বিপদের মুখে কৃষি বিপর্যয়ের এই গল্পটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের। ২০২০ সালের শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কিন্তু প্রতাপনগর ইউনিয়নটিতে ক্ষতির পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। দুই বছর লোকালয়ে জোয়ারভাটা প্রবাহিত হওয়ায় বহু মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করতে হয়েছিল। এখনও ফেরেনি তাদের স্বাভাবিক জীবন। তিন বছরের বেশি সময় ওই এলাকাটি অনুসরণ করে দেখা গেছে, বহু কৃষকের কৃষিজমি কেড়ে নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। অনেক এলাকায় ভাঙনের কারণে জমি হারিয়েছে, অনেক এলাকায় জমিতে বালু পড়েছে, অনেক এলাকার কৃষি জমিতে সৃষ্টি হয়েছে নতুন খাল। প্রায় দুই বছর ধরে লবণাক্ত পানিতে ডুবে থাকা এলাকাগুলোর গাছপালা মরে গেছে। বাড়ি-ভিত্তিক কৃষি খামারগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।    

বেড়িবাঁধের দু’ধারেই থইথই পানি। এক দিকে খোলপেটুয়া নদী অন্য দিকে ফসলি মাঠ

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতের পর অনেক কৃষক তাদের জমিতে চাষাবাদ শুরু করতে পারেনি। গত শুকনো মৌসুমে কিছু কৃষক ধানের ইরি-বোরো ধানের আবাদ করলেও তাতে ফলন পাওয়া যায়নি। পানি সেচের অভাবে অনেকের জমি চাষ করা সম্ভব হয়নি। মাত্র মাসখানেক আগে জমিগুলো ছিল শুকনো। কিন্তু বর্ষা শুরুর পর থেকে বিলের পর বিল তলিয়ে আছে পানিতে। পানি সরাতে না পারলে এ বছরও প্রতাপনগরের তিন হাজার বিঘা জমিতে কোনো ফসল আবাদ করা সম্ভব হবে না। কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত  গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে বেড়িবাঁধের উপরে হস্তচালিত নলকূপ বসিয়ে বিলের পানি সরানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু বর্ষার তীব্রতা বাড়লে হস্তচালিত নলকূপ দিয়ে বিলের পানি সরানোর সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।   

শুকনোয় সেচ সংকট

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পর কেবলমাত্র এই বছর শুকনো মৌসুমে প্রতাপনগরের বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা জমিতে ধান আবাদ শুরু করেন। কিন্তু সেচ সংকট এবং জমিতে লবণাক্ততার কারণে অনেকের ফসল ভালো হয়নি। সেচ সংকটের কারণে অনেকে জমিতে ধান আবাদ করতে পারেননি। এই এলাকায় শুকনো মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের আবাদ হয়। মাত্র মাসখানের আগে প্রতাপনগরের অনেকগুলো গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, জমির মাটি কড়কড়ে, কোথাও মাটি ফেটে চৌচির, কোথাও মাটিতে জেগেছে লবণের আস্তরণ। অনেকে পাকা ধান কেটেছেন; কিন্তু চাষাবাদে তাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। অনেকের জমিতে আর কাঁচি নিয়ে নামতে হবে না; শীষে ধান আসার আগেই পুড়ে গেছে। 

প্রতাপনগর গ্রামের সোহরাব হোসাইন (৩৫) ইঞ্জিনভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পর দুই বছর পানির সঙ্গে বসবাস করেছিলেন। রাস্তাঘাট ভালো না থাকায় ভ্যান চালিয়ে ভালো রোজগার করতে পারেননি। অর্থনৈতিকভাবে চরম সংকটে পড়েন সোহরাব। তার নিজের জমিজমা নেই। তাই পানি নেমে যাওয়ার পর অন্যের কাছ থেকে দেড় বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ইরি ধান আবাদ করেছিলেন। ধান আবাদের জন্য ঋণ করেছিলেন ২৫ হাজার টাকা। এই পুরো টাকা এবং শ্রম বৃথা গেছে। কর্মকারবাড়ি-ফুলতলা রাস্তার ধারে তার ধান ক্ষেতের পাশে দাঁড়িয়ে চোখে পড়ে ক্ষেতের অধিকাংশ স্থান লবণাক্ততায় পুড়ে গেছে। সেচের পানির অভাব এবং লবণাক্ত মাটি এর কারণ। 

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষতচিহ্ন এখনো স্পষ্ট। লবণ পানিতে পুড়ে গেছে অধিকাংশ গাছপালা

প্রতাপনগর গ্রামের অবস্থাপন্ন কৃষক আমজাদ হোসেন (৬৫) সারাজীবন নিজের জমিতে ধানের আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেছিলেন। প্রতাপনগর দক্ষিণ বিল এবং পদ্মপুকুর ইউনিয়নে তার ৯ বিঘা জমি আছে। কিন্তু ঘন ঘন প্রাকৃতিক বিপদ তাকে ধানের আবাদ থেকে সরিয়ে আনছে। জমি আবাদের উপর তিনি এখন আর ভর করতে পারছেন না। জীবিকা নির্বাহের জন্য মাছ ধরা, সুন্দরবনে বিভিন্ন কাজে যেতে হচ্ছে তাকে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পরে তার বিপদ আরো বেড়েছে। কৃষি জমি এবং বাড়িঘর লবণ পানিতে ডুবে থাকার কারণে ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে জমিতে আবাদ করতে পারেননি। চলতি বছর শুকনো মৌসুমে প্রতাপনগর দক্ষিণ বিলে তিন বিঘা জমিতে ইরি ধান আবাদ করেন। খরচ হয়েছিল ৬০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ এনেছিলেন। সেচ সংকটের কারণে তার অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ধান চাষে। কিন্তু অতিরিক্ত খরচ এবং শ্রম দিয়েও তাকে লোকসান গুনতে হয়েছে। যে জমিতে ধান হওয়ার কথা ৮০ মণ, সেখানে ধান পেয়েছেন মাত্র ৩০ মণ। এর মূল্য মাত্র ২৪ হাজার টাকা। শুকনো মৌসুমে ধানের আবাদ করে তিনি প্রায় ৩৬ হাজার টাকা লোকসান গুনেছেন। 

একই গ্রামের ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ক্ষতিগ্রস্ত রিয়াসাত আলী (৪৫) সাত বিঘা জমির মালিক।আম্ফান তাকে অন্য পেশায় জীবিকা নির্বাহের উপায় খুঁজতে বাধ্য করেছে। কৃষি থেকে বছরের বড় সময়ের খাবার সংরক্ষণের সুযোগ তার নাই। কথা বলতে গিয়ে রিয়াসাত আলী ২০০৯ সালের ঘূর্ণিঝড় আইলা প্রসঙ্গ টেনে আনেন। সেবারও জমি চাষাবাদ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছিল রিয়াসাত আলী এবং তার মত আরো বহু কৃষক।  

বর্ষায় জলাবদ্ধতা, চাষাবাদে অনিশ্চয়তা

আম্ফানে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ জোড়া লাগানোর পর গত শুকনো মৌসুমে এক ধরনের বিপদ, বর্ষায় আরেক ধরনের বিপদ। ভারি বর্ষায় বিলে পানি জমে যায়। সেই পানি প্রবেশ করে বাড়িঘরে। বেড়িবাঁধ জোড়া লাগানোর আগে জোয়ারের পানিতে ডুবত প্রতাপনগরের মানুষেরা, এখন তারা ডুবছে বর্ষার পানিতে। টানা বর্ষণে তলিয়ে যায় মাঠঘাট, বাড়িঘর। তখন বেড়িবাঁধের ভেতরে এবং বাহিরের কোনো পার্থক্য বোঝা যায় না। দু’পাড়েই থইথই পানি। বৃষ্টিপাত কয়েকদিন বিরতি দিলে বিলের পানি কিছুটা কমে; কিন্তু পানিবন্দি থাকে গোটা প্রতাপনগর। পানিতে ডুবে থাকায় টানা চার বছর বর্ষার ধান চাষ করতে পারেনি কৃষকেরা। এবারও ধান আবাদের সম্ভাবনা ক্ষীণ। পানি নিষ্কাশনের জন্য বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে ‘ওভার পাইপ’ বসানোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পাইপ দিয়ে পানি সরানো সম্ভব হলে অনেকে হয়ত ধানের আবাদ করতে পারবেন।  

নতুন বেড়িবাঁধ হলেও তাতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে বৃষ্টি হলেই পানি জমে। ডুবে যায় বাড়িঘর

বর্ষার পানিতে ডুবে আছে বিল-খাল, পুকুর, ডোবা-নালা, পথঘাট সবই পানিতে একাকার। এ বছর নিয়ে একটানা চার বছরের বর্ষার ধান চাষ করতে পারছে না প্রতাপনগরের কৃষকেরা। পানি নিষ্কাশনের জন্য বেড়িবাঁধে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওভার পাইপ বসানো সময়ের দাবি এলাকাবাসীর। ঘন ঘন প্রাকৃতিক বিপদের মুখে পড়া উপকূলীয় অঞ্চল প্রতাপনগর ইউনিয়নের কয়েক হাজার বিঘা জমিতে ধান এবারও ধান চাষ হবে না। টানা চার বছর ধান চাষ করতে না পারায় অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষকেরা। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে ঋতু বৈচিত্রের মিল না থাকলেও এবছর বর্ষাকালের আষাঢ়ের প্রথম দিন, অর্থাৎ ইংরেজি ১৫ জুন থেকে এখন অবধি প্রতাপনগর অঞ্চলে কখনো মুষলধারে, কখনো প্রবল আকারে, কখনো মাঝারি, কখনো হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। যে কারণে মুসলিম উম্মাহর প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার নামাজ কোনো ঈদগাহে আদায় করা সম্ভব হয়নি। মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়। এটি অর্ধশত বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বর্তমানে বৃষ্টি কমলেও চাষাবাদের জমি পানিতে প্লাবিত রয়েছে; ধান আবাদের পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। 

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পরে এই এলাকার কৃষির পুনরুদ্ধারে অথবা কৃষির সংকট সমাধানে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে উল্লেখযোগ্য কোনো পদেক্ষপ নেওয়া হয়নি। এমনকি জলাবদ্ধতা নিরসনেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী বলছিলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আমাদের সব শেষ করে দিয়ে গেছে। আম্ফানের আগে এই এলাকার বহু মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। আম্ফানের পরে তারা উপার্জনের পথ খুঁজে পাচ্ছে না। বহু কৃষক এখন শ্রমজীবী, ভ্যান চালিয়ে, মজুরির কাজ করে অনেক পরিবার চলছে। অথচ কৃষি পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলে, কৃষকদের ধান আবাদের পরিবেশ সৃষ্টি করা হলে বহু মানুষের জীবন-জীবিকার সংকট কাটত।

প্রতাপনগরের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, এই এলাকাটি এক সময় কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল। মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান ক্ষেত্র ছিল কৃষি। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপদগুলো আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে। এক একটি প্রাকৃতিক বিপদের পর কয়েক বছরে আমরা সবকিছু ঠিক করে নিই; কিন্তু আরেকটি প্রাকৃতিক বিপদ এসে আবার আমাদের সব শেষ করে দেয়। মাঠ পর্যায়ে আমরা যে কতটা ক্ষতির মুখে পড়ছি; সে খোঁজ কেউ রাখে না।   

অবিলম্বে পানি নিষ্কাশনের দাবি

প্রতাপনগরের কল্যাণপুর এলাকায় পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে সরকারি অর্থ বরাদ্দে। ইউনিয়ন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় এটি করা হচ্ছে। কিন্তু এই উদ্যোগগুলোতে সরকারি বরাদ্দ থাকে খুবই কম। সে কারণে এলাকাবাসী চাঁদা তুলে সংকট উত্তরণের চেষ্টা করেন। আম্ফানে যখন পুরো প্রতাপনগর জোয়ারের পানিতে ভাসছিল, তখন এলাকার মানুষ চাঁদা দিয়ে এবং স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে জোয়ারের পানি আটকানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এতে প্রতাপনগরের একাংশ রক্ষা পেয়েছিল। এবারও এলাকাবাসীর কাছ থেকে চাঁদা তুলে বেড়িবাঁধের উপর ‘ওভার পাইপ’ বসিয়ে নলকূপ দিয়ে বিলে জমা থাকা পানি সরানোর চেষ্টা চলছে। কয়েকটি স্থানে এ ধরনের পাইপ বসানো হয়েছে। কিন্তু এলাকাবাসীর কাছ থেকে চাঁদা তুলে, হস্তচালিত নলকূপ বসিয়ে বৃহৎ এলাকার পানি অপসারণ খুব কঠিন। এ উদ্যোগ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সীমিত। প্রতাপনগরের কৃষকেরা বলেছেন, যতদিন স্লুইস গেট না হবে, ততদিন পানি নিষ্কাশনের জন্য মেশিন চালিত পাম্প বসিয়ে পানি অপসারণের উদ্যোগ নিতে হবে।

শুকনো মৌসুমে সেচের পানির অভাবে বহু কৃষক ধান আবাদ করতে পারেনি

কৃষক রিয়াসাত আলী বলেন, আমরা ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আগে ভালোই ছিলাম। আম্ফানের আঘাতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। আমরা সব হারিয়েছিল। এখন কৃষিকাজ করেও জীবিকা নির্বাহ করতে পারছি না। এর আগে ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতেও আমরা সব হারিয়েছি। প্রাকৃতিক বিপদের দায় তো আমাদের না। আমরা ক্ষতিপূরণ চাই। এলাকায় কৃষি কাজ করে আমরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চাই।     

তারা//

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়