ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে ডাটা অ্যানালিটিক্স

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৫, ৪ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে ডাটা অ্যানালিটিক্স

ইজেনারেশন এবং মাইক্রোসফট যৌথভাবে ‘ডিজিটাল ফাস্ট-মর্ডান ওয়ার্কপ্লেস : এনগেজড কাস্টোমারস, এমপাওয়ার্ড এমপ্লয়িজ অ্যান্ড অপটিমাইজড অপারেশনস’ শীর্ষক গোলটেবিল আয়োজন করেছে।

ডাটা, শক্তিশালী ম্যাট্রিক্স এবং অ্যানালাইটিক্যাল টুলস ব্যবহার করে ওয়ার্কপ্লেস ইনসাইট তৈরি করা, কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, কর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং ব্যবসায় প্রক্রিয়ার প্রবৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনা ও কৌশল নির্ধারণের জন্য রাজধানীর দ্য ওয়েস্টিন ঢাকায় এই গোলটেবিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন খাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) এবং তথ্যযুক্তি বিভাগের প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে ইজেনারেশনের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, সকল বৃহৎ ডিজিটাল ইকোনমিতে ডাটাকে নতুন চালিকাশক্তি হিসেবে ধরা হয়। আগামীতে বাংলাদেশের সকল পাবলিক এবং প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনার জন্য ডাটাকে ইনসাইট হিসেবে প্রস্তুত করা আবশ্যক হয়ে পড়বে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিদিনের কার্যক্রমে বিশাল পরিমাণ ডাটা তৈরি হয়, যা উৎপাদনশীলতায় প্রভাব, জনবলের কার্যকারিতা এবং কর্মীদের সম্পৃক্ততায় ব্যবহার করা যাবে। বিশ্বব্যাপী যেসব কোম্পানি এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে তারা অধিক লাভের জন্য সেটি বাস্তবায়ন করেছে। এখন সময় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ডাটার যথাযথ ব্যবহার করা এবং ইনসাইটের মাধ্যমে তাদের টিমের কাজের ধরনে নতুন রূপান্তর করা।

মাইক্রোসফট বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রুনাই দারুসসালাম এবং নেপালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফিফ মোহাম্মদ আলী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে, সকল সিএক্সও’দের কাছেই নিরাপত্তা সবচেয়ে বড় বিষয় বিষয়। সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাউড সেবা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এটা শুধুমাত্র কার্যকারিতা এবং খরচ কমানোর জন্য নয়, পাশাপাশি ব্যবসায়ের কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন করা এবং বিদ্যমান সল্যুউশনের সাথে নিরাপত্তা ও প্রাইভেসির মানও বাড়ানো। গার্টনার ২০১৯ সালে এন্ডপয়েন্ট প্রোটেকশন প্ল্যাটফর্ম এবং ক্লাউড অ্যাকসেস সিকিউরিটি ব্রোকার (সিএএসবি) এর নেতৃত্বদানকারী হিসেবে মাইক্রোসফটকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা যেহেতু শক্তিশালী ও নতুন কার্যক্ষমতা সম্পন্ন সল্যুউশন তৈরি করছি, সেখানে মাইক্রোসফটের সিকিউরিটি অ্যান্ড আইডেন্টি পোর্টফোলিওর সেরা সল্যুউশনকে ইন্টিগ্রেট করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশি গ্রাহকদের তাদের পোর্টফোলিওর সাথে পুরোপুরি ইন্টিগ্রেটেড সল্যুইশন প্রদান করতে সক্ষম হচ্ছি।

সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে গ্লোবাল ২০০০ সিইও’দের ৬৬ শতাংশই দ্রুতবর্ধমান নতুন প্রবৃদ্ধির জন্য তাদের কর্পোরেট কৌশলে ডিজিটাল রূপান্তর বাস্তবায়ন করেছেন। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৫০ শতাংশের অধিক জনবল কোম্পানির লক্ষ্যের সাথে তাল মিলিয়ে আরো উন্মুক্ত সহযোগী কর্মক্ষেত্র, উদ্দেশ্য সম্পর্কে অধিক সচেতন এবং গভীর সম্পৃক্ততাকে প্রাধান্য দেবে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ডিজিটাল ডাটার পরিমাণ হবে ৪৪ জেট্টাবাইটস, যা ২০১৩ সালের তুলনায় ১০ গুণ বেশি।

অনুষ্ঠানে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ, আইপিডিসি ফিন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গোলটেবিলে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সেলিম আহমেদ খান, ইজেনারেশনের নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান এসএম আশরাফুল ইসলাম, ইসলামী ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহের আহমেদ চৌধুরী, সোনালী ব্যাংকের প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা ওমর ফারুক খন্দকার, লংকা বাংলা সিকিউরিটিজের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মো. মইনুল ইসলাম, ব্রাক ব্যাংকের প্রধান ডিজিটাল কর্মকর্তা শ্যামল বি দাশসহ প্রমুখ।


ঢাকা/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়