ঢাকা     শুক্রবার   ১১ জুলাই ২০২৫ ||  আষাঢ় ২৭ ১৪৩২

আজ আকাশে উঠবে ‘স্ট্রবেরি মুন’

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৫, ১১ জুন ২০২৫  
আজ আকাশে উঠবে ‘স্ট্রবেরি মুন’

আজ দেখা যাবে স্ট্রবেরি মুন। ছবি: সংগৃহীত

রাতে চাঁদের ভরাপূর্ণিমার আলো যাদের মুগ্ধ করে আজকের দিনটা তাদের জন্যই। কারণ আজ রাতের আকাশে দেখা যাবে বিরল এক পূর্ণিমা। যার নাম ‘স্ট্রবেরি মুন’ বা ‘স্ট্রবেরি সুপারমুন’।

এবারের এই স্ট্রবেরি মুন হবে বিগত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে নিচু অবস্থানে ওঠা পূর্ণিমা চাঁদ।

এই পূর্ণিমা শুধুমাত্র জুন মাসের নয়, উত্তর গোলার্ধে বসন্তের শেষ পূর্ণিমাও বটে। এমন দৃশ্য আবার চোখে পড়বে ১৮ বছর পর-২০৪৩ সালে। তাই আজকের রাত শুধু আকাশ দেখার নয়, সময়কে স্মরণে রাখার এক দুর্লভ সুযোগও বটে।

আরো পড়ুন:

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, এই বিরল ঘটনার কারণ ‘মেজর লুনার স্ট্যান্ডস্টিল’ নামে পরিচিত একটি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা। এর ফলে চাঁদ তার কক্ষপথের চরম অবস্থানে পৌঁছে পৃথিবীর দিগন্তের সবচেয়ে উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে ওঠে ও অস্ত যায়। এরই ফলে পূর্ণিমার চাঁদ এত নিচু অবস্থানে দেখা যাচ্ছে এবং এর আলো হয়ে উঠবে আরও উষ্ণ ও সোনালি-যা আকাশপ্রেমীদের জন্য এক দৃষ্টিনন্দন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।

‘স্ট্রবেরি মুন’ নাম করণ করা হলেও সত্যিকার অর্থে এই চাঁদ স্ট্রবেরির মতো গোলাপি নয়। এর নামকরনের পেছনে অবশ্য রয়েছে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট।

‘দ্য ওল্ড ফার্মারস অ্যালম্যানাক’-এর তথ্য অনুযায়ী, এই নামটির উৎস মূলত উত্তর আমেরিকার আদিবাসী গোষ্ঠী এবং ঔপনিবেশিক আমেরিকা ও ইউরোপের লোকাচার থেকে এসেছে।

ঐতিহাসিকভাবে বিভিন্ন পূর্ণিমার নাম দিয়ে ঋতু চিহ্নিত করা হতো। জুন মাসের পূর্ণিমা, যা বসন্তের শেষ কিংবা গ্রীষ্মের শুরু বোঝায়, তখন ছিল স্ট্রবেরি বা বেরি ফলের মৌসুম। এই সময় ‘জুন-বিয়ারিং স্ট্রবেরি’ নামের একটি ফল পেকে ওঠে। সে কারণেই জুন মাসের পূর্ণিমার নাম হয়েছে ‘স্ট্রবেরি মুন’। আদিবাসীরা একে ‘বেরি পাকার পূর্ণিমা’ বলেও ডাকতেন।

প্রায় প্রতি বছর জুন মাসের পূর্ণিমা উত্তর গোলার্ধে স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে নিচু অবস্থানে দেখা যায়। কিন্তু এবারের ঘটনাটি বিশেষ, কারণ ২০২৫ সালের শুরুতে ঘটে গেছে ‘মেজর লুনার স্ট্যান্ডস্টিল’ নামের একটি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা, যার প্রভাব এই পূর্ণিমায় প্রকটভাবে দৃশ্যমান।

এই ঘটনা প্রায় ১৮.৬ বছর পরপর ঘটে থাকে, যখন চাঁদের কক্ষপথ পৃথিবীর চারপাশে এমন এক অবস্থানে পৌঁছায়, যেখানে এটি দিগন্তের চরম উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে ওঠানামা করে। এর ফলে চাঁদ আরো নিচুতে উঠে ও ডুবে এবং পূর্ণিমার রাতে তা আরো উষ্ণ ও হালকা উজ্জ্বল আলো ছড়ায়। আগামী ২০৪৩ সালের আগে এমন দৃশ্য আর দেখা যাবে না বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়