ঢাকা     শনিবার   ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ম্যারাডোনার মৃত্যু: চিকিৎসকসহ ৭ জন অভিযুক্ত

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:২৬, ২০ মে ২০২১   আপডেট: ০০:১৩, ২১ মে ২০২১
ম্যারাডোনার মৃত্যু: চিকিৎসকসহ ৭ জন অভিযুক্ত

ম্যারাডোনোর মৃত্যুর তদন্ত শেষে চিকিৎসকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ম্যারাডোনার নিউরো সার্জন লিওপোলদো লুকুয়ে, মনস্তত্ত্ববিদ অগাস্তিনা কোসাশোভ, মনোবিজ্ঞানী কার্লোস দিয়াস, দুই ব্যক্তিগত চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তাদের।

বুয়েন্স এইরেস টাইমস বৃহস্পতিবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

আরো পড়ুন:

তদন্ত রিপোর্টের শেষে জানানো হয়, ফুটবল কিংবদন্তি ‘অপর্যাপ্ত চিকিসৎসা সেবা পেয়েছেন এবং তার মৃত্যুর আগে ‘দীর্ঘায়িত, বেদনাদায়ক’ সময় কাটাতে হয়। যা রক্ত জমাট বেঁধে মস্তিস্কে আঘাত করে এবং কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে তার মৃত্যু হয়।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে এক তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এতো অনাচারের পরে মামলাটি শেষ পর্যায়ে এসেছে।’ এদিকে আগামী ৩১ মে থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত অভিযুক্তদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

গেল বছরের ২৫ নভেম্বর বিশ্ব ফুটবলের মহানায়ক দিয়াগো ম্যারাডোনো নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। নভেম্বরের প্রথম দিকে মস্তিষ্কে রক্তজমাট বাঁধার কারণে অস্ত্রোপচার হয় ম্যারাডোনার। এই অস্ত্রোপচারের ৮ দিন পর গত ১১ নভেম্বর হাসপাতাল ছাড়েন তিনি। এরপর নিয়মিত স্থানীয় ক্লিনিকে থেরাপি এবং সঙ্গে বাসায় চলছিল তার চিকিৎসা। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার দুই সপ্তাহের মধ্যে আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বিশ্ব ফুটবলের সর্বশ্রেষ্ঠ এই তারকা। 

তার মৃত্যুর সময়েই চিকিৎসকদের অবহেলার বিষয়টি আলোচনায় এসেছিল। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আর্জেন্টিনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করে।

তদন্ত কমিটি চলতি বছরের মার্চে একটি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়। ২০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্যানেল ৩০ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন কমিটির কাছে রিপোর্ট জমা দেন। ৭০ পৃষ্ঠার এই রিপোর্টে পরিস্কার বলা হয়, ‘দিয়াগো ম্যারাডোনোর চিকিৎসকের দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা পর্যাপ্ত সেবা করেননি, চিকিৎসায় ঘাটতি ছিল, তারা ছিল বেপরোয়া। রিপোর্টে এও বলা হয়, ম্যারাডোনার মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা পর খবর প্রকাশ করা হয়।

ময়নাতদন্তে জানা গেছে, মৃত্যুর সময় আর্জেন্টাইন লিজেন্ডের শরীরে কোনও অ্যালকোহল বা মাদকদ্রব্য ছিল না। হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের পাশাপাশি ম্যারাডোনার কিডনি ও লিভারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।

১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী আজেন্টাইন অধিনায়কের হৃদপিণ্ডের ওজন ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়