ঢাকা     শনিবার   ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ম্যারাডোনার মৃত্যু: নার্সকে দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের শুরু

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৫, ১৫ জুন ২০২১   আপডেট: ১৮:৫৭, ১৫ জুন ২০২১
ম্যারাডোনার মৃত্যু: নার্সকে দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের শুরু

ফুটবলের মহানায়ক ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে তার প্রধান চিকিৎসকসহ সাত জনের বিরুদ্ধে। তদন্তের অংশ হিসেবে সোমবার (১৪ জুন) থেকে একজন আর্জেন্টাইন প্রসিকিউটর শুনানি শুরু করেছেন।

রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের উপশহরে অবস্থিত সান ইসিদ্রো পাবলিক প্রসিকিউটরের অফিসে আইনজীবীকে সঙ্গে করে হাজির হন ম্যারাডোনার রাত্রিকালীন সেবক ৩৭ বছর বয়সী রিকার্ডো আলমিরন। তাকে দিয়ে শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। একে একে সাতজনকেই হাজির করা হবে।

আরো পড়ুন:

২০ জন চিকিৎসকের একটি বোর্ড তদন্ত শেষে ম্যারাডোনার চিকিৎসায় অবহেলা দেখতে পেয়েছেন। চিকিৎসকরা তার বেঁচে থাকাকে ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাদের বিশ্বাস, উপযুক্ত চিকিৎসা পেলে আর্জেন্টাইন ফুটবল গ্রেট আরও অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারতেন। তার মেডিক্যাল টিমকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করে ওই সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

অনেক বছর ধরে অ্যালকোহল ও ড্রাগ আসক্তিতে ভোগা ম্যারাডোনা মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের অস্ত্রোপচার করার কয়েক সপ্তাহ পর ২৫ নভেম্বর মারা যান। মৃত্যুর জন্য তার দুই সন্তান প্রধান চিকিৎসক লিওপোলদো লুকুয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।

আলমিরনের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তার দাবি ছিল মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও স্বাভাবিকভাবে ঘুমাচ্ছিলেন এবং নিশ্বাস নিচ্ছিলেন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৩৭ বছর বয়সী নার্সের আইনজীবী চিয়ারেল্লি বলেন, ‘আলমিরন সবসময় ম্যারাডোনাকে জটিল মানসিক রোগের রোগী হিসেবে চিকিৎসা করেছেন। হার্টের সমস্যার কথা কখনও তাকে বলা হয়নি। তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে নির্দেশ দিয়েছিল যেন রোগীকে বিরক্ত না করা হয়।’

পরবর্তীতে ম্যারাডোনার সাইকিয়াট্রিস্ট অগাস্টিনা কোসাখোভ (৩৫), সাইকোলজিস্ট কার্লোস দিয়াজ (২৯), নার্স দাহিয়ানা মাদ্রিদ (৩৬), নার্সিং কোঅর্ডিনেটর মারিয়ানো পেরোনি (৪০) ও মেডিক্যাল কোঅর্ডিনেটর ন্যান্সি ফোরলিনিকে (৫২) জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সবার শেষে ২৮ জুন লুকুয়েকে ডাকা হবে।

অভিযুক্তদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মামলা ট্রায়ালে গেলে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক মাস বা বছর লেগে যেতে পারে। দোষী সাব্যস্ত হলে এই সাতজনের আট থেকে ২৫ বছর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হতে পারে।

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়