ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আসরে খেলেছেন তারা

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ১৭ অক্টোবর ২০২১  
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আসরে খেলেছেন তারা

২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সবশেষ আসর ২০১৬ সালে ভারতে হয়েছিল। খুব কম সংখ্যক খেলোয়াড়ই ছয় আসরের সবকটি খেলেছেন এবং সপ্তমবারও খেলতে যাচ্ছেন। রোববার (১৭ অক্টোবর) থেকে সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠছে। মোট ছয় ক্রিকেটার এ নিয়ে সাতবারই খেলছেন, তাদের আগের পারফরম্যান্স দেখে নেওয়া যাক:

সাকিব আল হাসান

বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ২০০৭ থেকে প্রতিটি বিশ্বকাপে খেলেছেন বাংলাদেশের এই তারকা। ২৫ ম্যাচ খেলে প্রতি ম্যাচে ছিলেন দলের আস্থার প্রতীক। ২৮.৩৫ গড় ও ১২৮.৮৬ স্ট্রাইক রেটে ৫৬৭ রান তার, সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন।

এই ইভেন্টে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি করেন সাকিব। আর বল হাতে বিশ্বকাপে ১৯.৫৩ গড় ও ৬.৬৪ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৩০ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ১৫ রানে ৪ উইকেট।

বাংলাদেশ কোয়ালিফায়ার পর্ব জিতে সুপার টুয়েলভে উঠতে হলে নিশ্চিতভাবে সাকিবকে বড় অবদান রাখতে হবে।

মাহমুদউল্লাহ

বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং স্তম্ভ মাহমুদউল্লাহ। সব বিশ্বকাপে খেলেছেন তিনি, এবার তার নেতৃত্বে মাঠে নামছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ৩৫ বছর বয়সী তারকা বল হাতে অফ স্পিন আর ব্যাটিংয়ে মিডল অর্ডার সামলান দক্ষতার সঙ্গে।

সম্প্রতি জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ড সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সাফল্য এনে দেন মাহমুদউল্লাহ। আগের ছয় বিশ্বকাপে ২২ ম্যাচ খেলে ১৩.৮৫ গড়ে করেছেন ১৯৪ রান। বল হাতে ৩৭ ওভার করে নেন ৮ উইকেট।

মুশফিকুর রহিম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আসরে খেলা তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। ৩৪ বছর বয়সী উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞদের একজন।

এখন পর্যন্ত মুশফিক ৩৯২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে দেশের জন্য করেছেন ১২৫৯৫ রান, গড় ৩৪.০৪। ২০০৭ সাল থেকে খেলছেন বিশ্বকাপ, ২৫ ম্যাচ খেলে ২০ ইনিংসে ব্যাট করে রান ২৫৮, গড় ১৬.১২ ও স্ট্রাইকার রেট ১০৪.৪৫। হাফ সেঞ্চুরি নেই একটিও।

উইকেটের পেছনে কট বিহাইন্ড ১০টি আর স্টাম্পিং ৯টি। অবশ্য এবারের আসরে উইকেটকিপিং করবেন না তিনি।

ক্রিস গেইল

ক্রিস গেইলকে সর্বকালের সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান বললেও ভুল হবে না। ছয় মারা যেন তার কাছে ছেলেখেলা, এমনকি টেস্টেও তার শুরু হয়েছিল প্রথম বলে ছয় মেরে। বিধ্বংসী এই জ্যামাইকান বাঁহাতি বোলারদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠতে পারেন এবারের আসরে।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান গেইলের। ৪৪২ ম্যাচ খেলেছেন এবং রান ১৪১৭৯, তার ধারেকাছে কেউ নেই। তার গড় ৩৭.১১ এবং স্ট্রাইক রেট ১৪৫.৮২। এই ফরম্যাটে ১২০ বলে অপরাজিত ১৭৫ রান তার সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে ২২টি টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি দুটি বিশ্বকাপ জেতা এই ওপেনারের।

৪২ বছর বয়সী গেইল ছয়টি বিশ্বকাপে ২৮ ম্যাচ খেলেছেন। ৪০ গড় ও ১৪৬.৭৩ স্ট্রাইক রেটে ৯২০ রান তার। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় তার উপরে কেবল মাহেলা জয়াবর্ধনে (১০১৬)। এই ইভেন্টে দুটি সেঞ্চুরি ও ৭টি হাফ সেঞ্চুরি তার। সেরা স্কোর ১১৭। সবচেয়ে বেশি ৬০টি ছক্কার মালিক গেইল।

রোহিত শর্মা

আধুনিক সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা। এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবগুলোতে অংশ নিয়েছেন। ‘হিটম্যান’ খ্যাত ভারতের এই ব্যাটসম্যান বিধ্বংসী রূপেই হাজির হয়েছেন।

২০০৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিশ্বকাপে মোট ২৮ ম্যাচ খেলেছেন রোহিত এবং ব্যাট করেছেন ২৫ ইনিংস। ৩৯.৫৮ গড়ে ৬৭৩ রান তার। স্ট্রাইক রেট ১২৭.২২, সর্বো্চ্চ স্কোর অপরাজিত ৭৯ রানের।

৩৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান টুর্নামেন্টে ৬টি ফিফটি হাঁকান। ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু এনে দিতে ভারতের প্রত্যাশা তাকে নিয়ে।

ডোয়াইন ব্রাভো

চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভো। টি-টোয়েন্টি তার অগাধ অভিজ্ঞতা এবং দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় তিনি। বল হাতে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের কাঁপিয়ে দেওয়ার সঙ্গে ব্যাট হাতে এক ওভারেই পাল্টে দিতে পারেন ম্যাচের চিত্র।

মিডিয়াম পেসে টি-টোয়েন্টিতে সব মিলিয়ে ৬০০’র বেশি উইকেট ব্রাভোর। ব্যাটিংয়ে সাড়ে সাত হাজার রান। জিতেছেন দুটি বিশ্বকাপ।

বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচ খেলে ব্রাভো ২৪ গড়ে তিনটি হাফ সেঞ্চুরিতে ৫০৪ রান করেছেন, স্ট্রাইক রেট ১২৯.২৩। বল হাতে ২৫.৮০ গড় ও ৮.৮৭ ইকোনমিতে নিয়েছেন ২৫ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ৩৮ রানে ৪ উইকেট।

ঢাকা/ফাহিম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়