ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

গুজরাট-রাজস্থানের শক্তি ও দুর্বলতা

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৮, ২৯ মে ২০২২   আপডেট: ১৪:৪৯, ২৯ মে ২০২২
গুজরাট-রাজস্থানের শক্তি ও দুর্বলতা

দারুণ ধারাবাহিকতা দেখিয়ে শীর্ষ দুইয়ে থেকে লিগ পর্ব শেষ করেছিল গুজরাট টাইটান্স ও রাজস্থান রয়্যালস। অবশ্য ফাইনালের আগে ফেভারিট আইপিএলের নতুন দল গুজরাট। দুইবারের দেখায় তারা রাজস্থানকে হারিয়েছে। নিজেদের প্রথম আসরেই সেরা হওয়ার লড়াইয়ে সেই সাফল্য হার্দিক পান্ডিয়ার দল ধরে রাখবে, আশা করা যায়। রোববার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হাইভোল্টেজ এই ম্যাচের আগে দুই দলের শক্তি ও দুর্বলতা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।

গুজরাট টাইটান্সের শক্তি

ঋদ্ধিমান সাহা পাওয়ার প্লেতে দারুণ। তার স্ট্রাইক রেট ও ব্যাটিং গড় বলছে সেই কথা। ব্যাটিংয়ে আক্রমণাত্মক শুরুর পর লম্বা ইনিংসও খেলছেন তিনি। এরই মধ্যে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি করে রান সংগ্রহ করেছেন ৩১২।

শুভমান গিল, হার্দিক পান্ডিয়া ও ডেভিড মিলার- দলের মূল ব্যাটিং স্তম্ভ। এরই মধ্যে তিন তারকার রান চারশ পেরিয়ে গেছে। মানে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নয়, দলগতভাবে এতদূর এসেছে তাদের। এটাই তাদের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। গিল করেছেন ৪৩৮ রান, পান্ডিয়ার ৪৫৩ ও মিলারের ব্যাটে এসেছে ৪৪৯ রান।

ফিনিশিংয়ে দুর্দান্ত মিলার ও রাহুল তেওয়াতিয়া। ম্যাচ শেষ করেই ক্ষান্ত হচ্ছেন দুজন। দলের কঠিন সময়ে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন বিস্ময়করভাবে।

রশিদ খান বল হাতে মাঝের ও ডেথ ওভারে দারুণ। কিন্তু প্রয়োজনে ব্যাট হাতেও রাখছেন দলের জন্য অবদান, এটা অবশ্যই ইতিবাচক।

পাওয়ার প্লেতে প্রায়ই উইকেট নিচ্ছেন মোহাম্মদ শামি। শেষ করে আসছেন রশিদ। আরেকজন যশ দয়াল। তিনজনই উইকেটসংখ্যায় দুই অঙ্কের ঘরে। শামির ১৯টি, রশিদের ১৮টি ও দয়াল নেন ১০ উইকেট।

গুজরাটের দুর্বলতা

রশিদ ডেথ ওভারে দারুণ। কিন্তু তার বোলিং কোটা শেষ হলেই স্লগ ওভারে ছন্নছাড়া গুজরাট। শেষ দিকে রান খরচ করছেন শামি-দয়াল। এটা হতে পারে তাদের বড় মাথা ব্যথার কারণ।

এছাড়া ব্যাটে-বলে ভালো শুরু করতে না পারাও দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে।

রাজস্থান রয়্যালসের শক্তি

লিগ পর্বের শেষ দিকে নিষ্প্রভ ছিলেন জস বাটলার। তবে প্লে অফে ফিরে পেয়েছেন ফর্ম। ইংলিশ ব্যাটসম্যান এই পর্বে একটি করে হাফ সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরি করেছেন। ৮২৪ রান করে ফর্মের শীর্ষে আছেন তিনি। দলও তার সঙ্গে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে।

স্কোর খুব বড় করতে না পারলেও যশস্বী জসওয়াল পাওয়ার প্লেতে আগ্রাসী শুরু এনে দিচ্ছেন। তাতে বাকি ব্যাটসম্যানদের চাপ কমছে।

দলে রয়েছে পার্পল ক্যাপ প্রত্যাশী যুজবেন্দ্র চাহাল। ফাইনালেও বল হাতে শেষ কামড় দিতে চাইবেন এই স্পিনার। তার দখলে আছে ২৬ উইকেট।

সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাঞ্জু স্যামসন। ব্যাট হাতে ৪৪৪ রান করেছেন তিনি। রাজস্থানের হয়ে শিরোপা জয়ে রাখতে শেষ ম্যাচে নিজেকে আরও ভালোভাবে উপস্থাপন করতে চাইবেন এই ভারতীয় ব্যাটসম্যান।

অলরাউন্ডারের ভূমিকা ভালোভাবে পালন করছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ১২ উইকেট নিয়েছেন, রান করেছেন ১৮৫। দলের হয়ে ওভার প্রতিও দিয়েছেন সবথেকে কম রান।

রাজস্থানের দুর্বলতা

আহমেদাবাদের এই পিচে পেসাররা নজর কেড়েছেন দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, ওবেড ম্যাকয় ও ট্রেন্ট বোল্ট দারুণ খেলেছেন। কিন্তু স্পিনাররা এই পিচ থেকে সাহায্য পাননি। তাতে করে অশ্বিন-চাহালও সুবিধা না পেলে রাজস্থানকে কঠিন সময় ভোগ করতে হবে। কারণ পেস বোলারদের বিপক্ষে পান্ডিয়া, ঋদ্ধিমান ও মিলাররা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে আছেন, ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম কোয়ালিফায়ারে সেটা দেখা গেছে।

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ