ঢাকা     শনিবার   ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

আরো ৫০-৬০ রান হলেই খুশি শ্রীলঙ্কা

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে: || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫১, ১ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১৯:৩২, ১ এপ্রিল ২০২৪
আরো ৫০-৬০ রান হলেই খুশি শ্রীলঙ্কা

সিলেট টেস্টে বাংলাদেকে ৫১১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। যেই রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৮২ রানে। স্বাগতিকরা ম্যাচ হেরেছিল ৩২৮ রানে। সিলেটের পর চট্টগ্রাম টেস্টও এগোচ্ছে একই পথে। বাংলাদেশের আরেকটি ব্যাটিং ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কা চেপে ধরেছে। অতিথিদের করা ৫৩১ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট মাত্র ১৭৮ রানে। ৩৫৩ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে লঙ্কানরা ব্যাটিং ধসে পড়লেও ৬ উইকেটে তাদের রান ১০২। সব মিলিয়ে লিড ৪৫৫ রান।

হাসান মাহমুদের ৪ ও সৈয়দ খালেদের ২ উইকেটে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবে ফিরে আসলেও ব্যাটিং নিয়ে বড় আশা করা যাচ্ছে না। কেননা শেষ পাঁচ দলীয় ইনিংসে বাংলাদেশের রান একটিও দুইশর ঘর পেরোয়নি। তাই বাংলাদেশকে নিয়ে বাজি ধরার লোকও পাওয়া যাচ্ছে না। শ্রীলঙ্কা কত রান নিরাপদ মনে করছে? জানতে চাওয়া হয়েছিল তাদের পেস বোলিং কোচ দর্শনা গামাগের কাছে। উত্তরে তিনি বলেছেন,‘আমাদেরকে আরো ৫০-৬০ রান করতে হবে। তাহলে আমরা ভালো অবস্থানে পৌঁছাবো।’

আরো পড়ুন:

নিজেদের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে গামাগে যোগ করেন, ‘এই টেস্টে এখনও ছয় সেশন বাকি আছে। আমরা আগামীকাল প্রথম সেশনে যতটা সম্ভব রান করার চেষ্টা করবো। আমাদের সাড়ে চারশর বেশি রান জমা আছে। আরো ৫০ রান হলে আমাদের লিড পাঁচশ ছাড়াবে। আমরা যদি প্রথম সেশন ব্যাটিং করতে পারি তারপর তাদেরকে অলআউট করতে পাঁচ সেশন পাবো। পাশাপাশি পেসাররা পর্যাপ্ত বিশ্রামের সময় পাবে। যেন তারা যখন ফিরবে সতেজ হয়ে যেন ফেরে।’

বাংলাদেশকে ফলো অনের সুযোগ পেয়েও কেন করায়নি শ্রীলঙ্কা? উত্তরে গামাগে যা বলেছেন, ‘মূল বিষয়টা হচ্ছে আমরা বোলারদের বিশ্রাম দিতে চেয়েছিলাম কারণ টেস্টের দুদিন এখনও বাকি রয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের কিভাবে কাজে লাগাতে পারি আমাদের ভাবনাতেই ছিল তা।’

সোমবার চট্টগ্রামের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটেও ১৫ উইকেট পড়েছে। বাংলাদেশের ৯ উইকেটের পর শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট। যেখানে পেসাররা পেয়েছেন ১৪ উইকেট। শ্রীলঙ্কার আসিথা ফার্নান্দো পেয়েছেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন বিশ্ব ফার্নান্দো ও লাহিরু কুমারা। দুই দলের পেসারদের নিয়ে গামাগে বলেছেন, ‘আপনি যদি দুই দলের পেসারদের দিকে তাকান দেখবেন প্রত্যেকেই ভালো বোলিং করেছে। সঠিক জায়গায় লম্বা সময় ধরে বোলিং করেছে।’

টেস্ট ক্রিকেটে বোলিংয়ে সাফল্যের জন্য শৃঙ্খলতার বিকল্প নেই জানিয়ে গামাগে আরো বলেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের সব সময়ই পরিকল্পনা থাকে শৃঙ্খল থাকা। ব্যাটসম্যানদের নিয়ে পরিকল্পনার আগে আমাদের মনোযোগ থাকে শৃঙ্খল বোলিংয়ে। আমরা ফিল্ডিং কোথায় রাখবো। কোথায় বল করবো ধারাবাহিকভাবে। দুই টেস্টেই যদি দেখেন আমাদের সিমাররা দ্রুত মানিয়ে নিয়েছে। এই ম্যাচের আগেও আমরা নিজেদের প্রস্তুতির বড় অংশ জুড়ে শৃঙ্খলতা নিয়ে কাজ করেছি।’ 

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/বিজয়

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়