ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

কনসার্ট ছাড়া তামিমের চোখে অন্যরকম কিছু ধরা পড়েনি

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৭, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৯:৪১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
কনসার্ট ছাড়া তামিমের চোখে অন্যরকম কিছু ধরা পড়েনি

বলা হচ্ছে, বিপিএলের এগারতম আসরে পরিবর্তনের হাওয়া লাগবে। দেখা মিলবে নতুনত্বের। আয়োজকদের পক্ষ থেকেই এমন ঘোষণা এসেছে। যাদের জন্য এই আয়োজন, ক্রিকেটার তাদের চোখে কি কোনো পরিবর্তন নজরে এসেছে? জানতে চাওয়া হয়েছিল বিপিএলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালের কাছে।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের চোখে ধরা পড়েনি তেমন কিছুই। বল মাঠে গড়ানোর একদিন আগে তামিম বলতে বাধ্য হলেন, ‘‘অন্যরকম কিছু দেখি না কনসার্ট ছাড়া।’’ তামিম যে কনসার্টের কথা বলছেন, তা ‘‘মিউজিক ফেস্ট’’ ব্যানারে গত ২৩ ডিসেম্বর মিরপুর শের-ই-বাংলায় অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে পারফর্ম করেন পাকিস্তানের শিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান। এছাড়া স্থানীয় শিল্পীরা তো ছিলেনই। কনসার্ট এর আগেও হয়েছে। এবার নতুন করে বিসিবি যা করেছে, ঢাকাসহ চট্টগ্রাম এবং সিলেটে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে শুধু স্থানীয় শিল্পীরাই পারফর্ম করেন।

আরো পড়ুন:

তিন কনসার্টের জন্য বিসিবি এবার সাত কোটি টাকা খরচ করেছে। এজন্য ৪ কোটি টাকার স্পন্সরও পেয়েছিল। বিপিএলের আগে এই আয়োজন নতুন নয় একদমই। ২০১২ সালে মিরপুরে বলিউড শিল্পী-অভিনেত্রীরা পারফর্ম করেছিল। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনীতে পারফর্ম করেছিলেন সালমান খান, ক্যাটরিনা কাইফরা। এছাড়া মুজিব বর্ষের বিশেষ আয়োজনে মিরপুরে গান শোনাতে এসেছিলেন অঙ্কারজয়ী এ আর রহমান। শুধু উদ্বোধনী নয়, সমাপণী আয়োজনেও বিসিবি মিউজিক ফেস্টের আয়োজন করে থাকে। বিপিএলে বাড়তি রঙ দিতে অর্থ খরচে বিসিবি কখনোই কার্পণ্য করেনি। এবারও তেমন কিছুই হয়েছে।

রাজনৈতিক পটভূমির পরিবর্তন এবং দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে দেশের ক্রিকেট প্রশাসনে অনুমিতভাবেই পরিবর্তন এসেছে। ফারুক আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণের পর বিপিএল আয়োজনের চ্যালেঞ্জও নিয়েছেন। বলেছিলেন, নতুনত্ব দেখাবেন। কিছু জায়গায় আসবে পরিবর্তন। কিন্তু মাঠে তেমন কিছু চোখে পড়ল না। তামিমের বক্তব্যটাও একই রকম, ‘‘আমি, সত্যি কথা বলতে অন্যরকম কিছু দেখি না কনসার্ট ছাড়া। আমার কাছে মনে হয় অন্যরকম বিপিএল যদি আমাদের করতে হয়, আমাদের ক্রিকেটে বিনিয়োগ করতে হবে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের টুর্নামেন্টে ইনভেস্ট করতে হবে, কনসার্ট বা অন্য কিছুতে না। ক্রিকেটে যদি বিনিয়োগ করি, টুর্নামেন্টে যদি বিনিয়োগ করি; তখন আমরা বলতে পারবো যে এটা নতুন করে বিপিএল। কনসার্ট আগেও হয়েছে, এখনও হয়েছে; দারুণ একটা অনুষ্ঠান হয়েছে যা দেখেছি, আমি ছিলাম না দেশে।’’

তবে মাঠের ক্রিকেট নিয়ে শুরুর আগে আগাম মন্তব্য করা থেকে দূরে থাকতে চাইলেন তামিম, ‘‘এখনও এটা কিছুটা আর্লি হয়ে যায় মন্তব্য করা। কারণ, আমি জানি না কালকে কী আছে আমাদের জন্য। এটাও ফেয়ার হবে না আমি একটা কমেন্ট করে দিলাম যেটা খারাপভাবে গেল। আমি এতটুকু বলতে পারি, কেউ যদি আমার কাছে পরামর্শ চায়, আমি এতটুকু বলব যে যদি আপনি বিপিএল পরিবর্তন করতে চান; টুর্নামেন্ট ও ক্রিকেটে ইনভেস্ট করুন।’’

বিপিএল সফল ও আকর্ষণীয় করার জন্য মাঠে যারা খেলবে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করছেন তামিম। আয়োজকরা পরিকল্পনা করবে। প্রস্তুতি নিতে পারবে। সাম্ভাব্য সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারবে। কিন্তু ২২ গজে ক্রিকেটটা খেলতে হবে খেলোয়াড়দের। মূল দায়িত্বটা তাদেরই তা মনে করিয়ে দিলেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক, ‘‘দেখেন, ক্রিকেটটা কেমন হবে এটা নির্ভর করে খেলোয়াড়রা কেমন খেলছে। এটা তো আসলে যারা আয়োজক তাদের হাতে কিছু থাকে না। তাদের হাতে কী থাকে, সেরা ফ্যাসিলিটিজ দেওয়া, সেরা উইকেট দেওয়া, নিশ্চিত করা সেরা ধারাভাষ্যকার, ক্যামেরা ও টেকনোলজি যেটা এভেইলাবল, তা পাওয়া। এটা হলো যারা দায়িত্বে বসে আছেন তাদের কাজ। কিন্তু উনারা কোনদিন এটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না আসলে খেলা দুইশ রান-দুইশ রানের হবে নাকি ৬০ রান-৬০ রানের হবে। ওটার দায়িত্ব দল ও খেলোয়াড়দের নিতে হবে। এটার বাইরে যেগুলো, এগুলো উনাদের দায়িত্ব। উনারা যদি উনাদের কাজটা ভালো মতো করেন, আমরাও যদি আমাদের কাজ ভালো মতো করি তাহলে সফল টুর্নামেন্ট হবে।’’

বিপিএল কিভাবে আরও এগিয়ে যেতে পারে? তামিম বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলে যুক্ত হলে কোন পরিকল্পনা দিতেন? সেই প্রশ্ন করা হলে সোজা ব্যাটে খেলার মতোই উত্তর দিলেন, ‘‘এটা কোন একসময় দেবো। এটা লম্বা প্রসেস। লম্বা আলোচনা। এজন্য আমার মনে হয় না এই উত্তর দেওয়ার অবস্থায় আছি।’’

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়